পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y ፵ জীবন্মত-রহস্য একটা বিশেষ কারণে আমাকে আপাততঃ মুখ বন্ধ রাখিতে হইবে। ইহার

    • م-{2

বলিতে বলিতে অমরেন্দ্রনাথ সহসা চুপ করিয়া গেলেন। দত্ত সাহেব কহিলেন, “ইহার পর কি ?” অমরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “আমি যাহা কিছু জানি, ইহার পর-সময় বিশেষে হয় তা তাহা আপনার নিকটে প্ৰকাশ করিতে পারি।” চমকিতভাবে দত্ত সাহেব কহিলেন, “কি তুমি জান, কি পরে প্রকাশ করিবে ? হত্যা সম্বন্ধে কোন কথা ?” অমরেন্দ্ৰনাথ উত্তেজিত কণ্ঠে বলিতে লাগিলেন, “হঁ, এই হত্যাসম্বন্ধে। কিন্তু, আপনার নিকটে সে কথা বলিতে আমার সাহস হয় না। আপনি নিজগুণে আমাকে ক্ষমা করিবেন।-কোন কথা জিজ্ঞাসা করিয়া আর আমায় বিপদে ফেলিবেন না ।” গভীরভাবে দত্ত সাহেব কহিলেন, “বুঝিলাম না, কি এমন ভয়ানক কথা, যাহা তোমাকে জিজ্ঞাসা করাও, অনুচিত ?” অমরেন্দ্ৰনাথ কহিলেন, “যখন আপনি এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রক্ষত্যের মৰ্ম্মোড়েদ করিতে পরিবেন, তখন সকলই জানিতে পায়িবেন। জানিতে পরিবেন, কোন কারণে আমি আপনার সহিত আজ এরূপ অনুকৃতজ্ঞের ন্যায়। ঘূণ্য ব্যবহার করিলাম।” ৱিলিতে বলিতে সহসা অষয়েন্দ্ৰনাথ কক্ষের বাহির হইয়া গেলেন । পাছে, দত্ত সাহেব সেই অপ্ৰকাশ্য বিষয় শুনিবার জন্য আরও পীড়াপীড়ি করিয়া তাহকে বিপদে কেলেন । সহসা অমরেন্দ্ৰনাথের এরূপ দ্বভাব-বৈলিক্ষণ্যে দত্ত সাহেবের সংশয়” মত্ততা আয়ও ষাক্তিৰার দিকে চলিল। তিনি ভাবিতে লাগিলেন, অমরেন্দ্ৰ এমন কিছু অৱগত আছে, যাহতে এ নিবিড় রহস্য আবরণের অন্তরাল