পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

एटाप्ररझाङ्ग-दि”ा S ግሕ হইতে সুরেন্দ্রনাথের হত্যাকাণ্ডটা অনেক পরিষ্কার হইয়া আসিতে পারে; তদ্ব্যতীত লাসচুরির ও একটা কিনারা হইতে পারে ; কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য, অমরেন্দ্ৰ কিছুতেই তাহার নিকটে একটি বর্ণও প্ৰকাশ করিতে চাহে না ! দত্ত সাহেব যতই এই সকল কথা ভাবিতে লাগিলেন, ততই তাহার বিস্ময়-বিমুঢ়তা দ্বিগুণ হইয়া উঠিতে লাগিল। এবং তাঁহার চক্ষুর সম্মুখে অন্ধকার নিবিড় হইতে নিবিড়তর হইতে লাগিল। তখন দত্ত সাহেব একবার রহিমবক্সের খোজ লাইতে চলিলেন। মনে করিলেন, যদি সে কিছু প্ৰকৃতিস্থ হইয়া থাকে, মৃতদেহ অপহরণকারীর সন্ধানটা তাহার নিকটে পাওয়া যাইতে পারে। বিশেষতঃ দত্ত সাহেবের বিশ্বাস, যাহার দ্বারা মৃতদেহ অপহৃত হইয়াছে, তাহার দ্বারাই সুরেন্দ্ৰনাথের হত্যাকাণ্ডটা সমাধা হইয়াছে । O দত্ত সাহেব যাইয়া দেখিলেন, রহিমবক্সের সংজ্ঞা লাভ হইয়াছে। কথা কহিতে পারে । সহসা তাহাকে, এরূপ প্ৰকৃতিস্থ দেখিয়া দত্ত সাহেব যথেষ্ট আনন্দিত এবং ততোধিক বিস্ময়াপন্ন হইলেন। সম্মুখবৰ্ত্তী গফুরের মাকে কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । গফুরের মা বলিল, “সেই রুমালখানা খুলিয়া লওয়া অবধি রহিম একটু একটু করিয়া কথা কহিতে পারিতেছে।” O তখন দত্ত সাহেব দারুণ সংশয়ান্ধকারের মধ্যে আলোকের আর একটা শিখাপাত হইতে দেখিলেন। সেলিনা মিথ্যাকথা বলিয়াছে, সেই বিষাক্ত রুমাল রহিমবক্সকে অচেতন করিবার অভিপ্ৰায়ে ব্যবহৃত হইয়া থাকিবে ; জুলেখা বিষাক্ত গন্ধের ঔষধ মাখাইয়া বেণ্টউডকে সেই রুমাল দিয়া থাকিবে ; সেলিন যদি মিথ্যা না বলিয়া থাকে, তাহা হইলে তাহার রুমাল সে আর কোথায় ফেলিয়া থাকিবে; নতুবা সে অমরেন্দ্রনাথের ন্যায় কোন