পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভ্ৰাট-বৈষম্য sive i paphy বেড়িয়া ঘুরিতেছে। অমর উন্মত্তের ন্যায় হইলেন, উত্তেজিতভাবে সবেগে মাথা তুলিয়া কঠিনকণ্ঠে কহিলেন, “আমি জানি, আমার যখন জ্ঞান বিদ্যাবুদ্ধি হইয়াছে, তখন সৈ কথা আমাকে বুঝানো অনাবশ্যক। আমি জানি, আপনার ঋণ অপরিশোধ্য। তথাপি আমি সে কথা কিছুতেই আপনার নিকটে প্ৰকাশ করিতে পারিব না,-” এই বলিয়া যুক্তকর হইলেন- “আপনাকে সে কথা বলিলে, আপনি নিশ্চয়ই প্ৰথমে আমার উপরেই দোষারোপ করিবেন।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “আমর, আমি তোমার কথা বুঝিতে পারিলাম न ।।” অমরেন্দ্রনাথ ব্যাকুলভাবে কছিলেন, “আপনি বুঝিবেন কি-আমি নিজেকে নিজেই বুঝিতে পারিতেছি না। আমার ন্যায় হতভাগ্য মূর্থি এ জগতে আর কেহ নাই “x” কিছু উষ্ণ হইয়া দত্ত সাহেব বিরক্তস্বরে কহিলেন, “সে কথা নিশ্চয়ই, তুমি যদি তোমার ভাইএর হত্যকারীকে জানিয়াও তুমি আমার কাছে সে কথা প্ৰকাশ করিতে অস্বীকার কর, তাহা হইলে ইহা অপেক্ষা অধিক তোমার আর কি মূৰ্থিত হইতে পারে ? তুমি যাহা জান—এখনও স্বীকার কর । স্বীকার করিবে কি না-বল। এই আমি শেষবার তোমাকে জিজ্ঞাসা করিতেছি।” O পূর্ববৎ উত্তেজিত হৃদয়ে অমরেন্দ্ৰ কহিলেন, “কিছুতেই নয়, আমিও আপনাকে এই শেষ উত্তর দিলাম। যাহা জানি, তাহা বলিবার নহে কিছুতেই আমি বলিতে পারিব না ; আমাকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করিবেন না। আমার কথায় যদি আপনার সন্দেহ হয়, আপনি ডাক্তার বেণ্টউডকে জিজ্ঞাসা করিবেন।” বলিতে বলিতে নিদারুণ উদ্বেগে অমরের মুখ চোখ লাল হইয়া উঠিল।