পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মত-রহস্য hasing রকমে আমাকে তিলমাত্র সাহায্য করিতে একান্ত নারাজ । তোমার এরূপ মতিগতি আদৌ ভাল নহে। এখনও যদি তোমার এইরূপ জঘন্য মতিগতির পরিবর্তন না হয়, তাহা হইলে তুমি নিশ্চয় জানিয়ো, আমি তোমার মুখদর্শন করিব না। একবার তুমি আমার মন হইতে গেলে, সেখানে কিছুতেই আর স্থান পাইবে না।” অমর ইহার কি উত্তর করেন, শুনিবার জন্য দত্ত সাহেব ক্ষণকাল স্থিরদৃষ্টিতে র্তাহার দিকে চাহিয়া রহিলেন। অমরেন্দ্রদ একতিল নড়িলেন না, অমরেন্দ্র একটি কথাও কহিলেন না—অমরেন্দ্ৰ কিছুমাত্র বিচলিত হইলেন না । সেইরূপ ম্রিয়মাণাভাবে, অধোবদনে নতনেত্ৰে অমরেন্দ্ৰ নীরবে ভূমি নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। মুহামান অমরেন্দ্রের সেইভাবে দত্ত সাহেবের রাগ দুঃখে পরিণত হইল । তিনি আর তথায় দাড়াইতে ইচ্ছা করিলেন না । দ্রুতপদে বাটীর ভিতরে চলিলেন । যতক্ষণ তাঁহাকে দেখা গেল, অমরেন্দ্রনাথ একদৃষ্টি তাহার দিকে চহিয়া রহিলেন ; এবং তঁহাকে উদ্দেশ করিয়া অনুচ্চস্বরে আপন মনে কহিলেন, যদি আমি এখন আপনার নিকটে সত্যকথা প্ৰকাশ করিতাম, তাহা হইলে আপনি আমায় কি বলিতেন ? আপনি এখন আমার উপরে যেমন দোষারোপ করিয়া তিরস্কার করিতেছেন, তখনও তাহাই করিতেন । তবে বলিয়া লাভ কি ?” পকেট হইতে রুমাল বাহির করিয়া ললাটের স্বেদ মোচন করিতে করিতে অমরেন্দ্ৰনাথ অপরদিকে চলিয়া গেলেন ।