পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VO o জীবন্মত-রহস্য দ্বারসমীপগত হইয়া দাড়াইলেন। জুলেখা তাহার পাদমূলে সাষ্টাঙ্গে লুটাইয়া পড়িয়া হাউ হাউ করিয়া চীৎকারে কঁাদিতে আরম্ভ করিয়া দিল । মিসেস মােরশন জুলেখার এরূপ ব্যাকুলভাবে চকিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “জুলেখা, কি হইয়াছে ? এমন করিয়া তুই কাঁদিতেছিস কেন ?” জুলেখার ক্ৰন্দনের বিরাম নাই-সে সুর আরও চড়াইয়া দিল। দত্ত সাহেব কহিলেন, “আগে উহাকে চুপ করিতে বলুন, তাহার পর যাহা ঘটিয়াছে-সকলই আমি বলিতেছি।” শব্দায়মানা জুলেখাকে নিরস্ত করিবার জন্য সান্ত্ৰনার স্বরে মিসেস মাৱশন কহিলেন, “জুলেখা, চুপ কর, উঠিয়া দাড়া ; কি হইয়াছে যে এমন করিতেছিল?” জুলেখাকে হাত ধরিয়া উঠাইবার চেষ্টা করিলেন। উঠতে উঠিতে, কঁাদিতে কাঁদিতে জুলেখা বলিতে লাগিল, “আমি কি কুটুবাত বলিয়াছি ? আমি আর কিছুই জানি না ; হুজুর সাহেব আজ আমাকে বুট-মুটু-” দত্ত সাহেব জুলেখাকে আর বেশী বলিতে দিলেন না। তাড়াতাড়ি উঠিয়া পশ্চাদিক হইতে তাহার গলাটা ধরিয়া এমন সবেগে সঞ্চালন করিয়া দিলেন যে, সে একেবারে চুপ। জুলেখা একবার কাতর নেত্ৰে সেলিনার মাতার মুখের দিকে চাহিল ; চাহিয়া তৎক্ষণাৎ মস্তক অবনত করিল। বলিতে পারি না, হঠাৎ কোন কারণে মিসেস মারুশনের মুখ চোখ সহসা বিবৰ্ণভােব ধারণ করিল। বিবর্ণমুখে একখানি চেয়ার টানিয়া তিনি বসিয়া পড়িলেন । জুলেখা ও মিসেস মারুশনের সহসা এইরূপ ভাবান্তরে দত্ত সাহেবের মনে ঘোরতর সন্দেহ উপস্থিত হইল। আপাততঃ তিনি মিসেস মানুশনের