পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ शश्य-शर्डी३७द्म বিস্ময়বিমূঢ় হইয়া দত্ত সাহেব সেলিনার নিকট হইতে অনেকটা সরিয়া দাড়াইলেন । কথাটা কিছুতেই বিশ্বাস করিতে র্তাহার প্রবৃত্তি হইল না। সন্দিগ্ধচিত্তে অস্ফুটম্বরে কহিলেন, “তোমার মা! তিনি বিষ-গুপ্তি লইয়াছিলেন ?” • সেলিনা কহিল, “হঁ, তিনি কেবল আপনার অজ্ঞাতে বিষ-গুপ্তি 3 করেন নাই ; যাহা করিয়াছেন, তাহা তিনি নিজেরও অজ্ঞাতে করিয়াছেন।” ভ্ৰভঙ্গী করিয়া দত্ত সাহেব কহিলেন, “তুমি একি অসম্ভব কথা বলিতেছ ? এমন কি কখন হইতে পারে ? কেবল আমি কেন, কেহই ইহা বিশ্বাস করিবে না।” সেলিনা কহিল, “আপনি এত শীঘ্ৰ অবিশ্বাস করিবেন না ; কথাটা আগে আমাকে ভাল করিয়া বুঝাইয়া বলিতে দিন। আমি যাহা জানি, সমুদয় আপনাকে বলিতেছি। পূর্বে আমার মার নাম গোপন করিবার জন্য আমাকে আপনার নিকটে মিথ্যা বলিতে হইয়াছিল। আপনি এখন প্ৰকৃত দোষী ব্যক্তির সন্ধান পাইয়াছেন, আর আমার সত্য গোপন করিাবার কোন আবশ্যকতা নাই। আমি যাহা জানি, আজ সমস্ত আপনাকে সত্য বলিব। চলুন-নীচে চলুন, এখানে কোন কথা হইবে না, মা কিংবা জুলেখা এখনই এদিকে আসিতে পারে ; জুলেখাকে আমার বড় তন্ন-সো ডাকিনী সব করিতে পারে।”