পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शश्ट-१र्डी ब्रड R) ) না। প্ৰায় এক শত বৎসর পূর্বে কোন একজন ফকির তাঁহাদের অজ্ঞাতে ছোটনাগপুর হইতে ঐ টম্বরু পাথর লইয়া বোম্বে পলাইয়া গিয়াছিল। সেই সময়ে ডাক্তার বেণ্টউড ও একবার বােম্বে গিয়াছিলেন। এবং টম্বরু পাথরখানি তথা হইতে সংগ্ৰহ করিয়া ফিরিয়া আসেন। আমি জুলেখার মুখে শুনিয়াছি যে, জুলেখার মারও ঐরূপ আর একটা টিম্বরু পাথর ছিল। কিন্তু সে কোথায় সেটা রাখিয়াছিল, ভ্রমক্রমে সে কথা মৃত্যুপূৰ্ব্বে কাহারও নিকটে প্রকাশ করিয়া যায় নাই। জুলেখার মত জুলেখার মাও অনেক মন্ত্রতন্ত্র জানিত, এবং এইরূপ ভূত-প্ৰেত সাধনা করিয়া বেড়াইত। তাহার মেয়ে এখন ঠিক তাহারই মত হইয়াছে। মার মৃত্যুর পর যতদিন জুলেখা আসামে ছিল, সেই টম্বরু পাথরের সন্ধান করিয়া করিয়া ফিরিত । এমন কি-সে নিজের হাতে অনেক স্থানে মাটি অবধি কাটিয়া দেখিরছে। জুলেখার এখনও ইচ্ছা, সেই টম্বরুর সন্ধানে সে আর একবার আসামে ঘুরিয়া আসে। তাহার পর এখানে বেণ্টউডের নিকটে টম্বরু পাথর দেখিয়া সে র্তাহাকে দেবতার ন্যায়। ভক্তি করিতে আরম্ভ করিয়াছে। বেণ্টউড যাহা বলে, জুলেখা তৎক্ষণাৎ তাষ্ঠা শিরোধাৰ্য্য করিয়া লয়। সে যাহা হোক, আমি এখন বেশ বুঝিতে পারিতেছি, কেবল আমাকে বিবাহ করিবার অভিলাষে বেণ্টউড এই সকল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইয়াছেন, এবং জুলেখাকে দিয়া একটার পর একটা কাজ সম্পন্ন করিয়া লইতেছেন। আপনি এইমাত্র জুলেখার মুখে শুনিয়াছেন যে, জুলেখার নিকটে বেণ্টউড পয়গম্বর সাহেব।”