পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰণয়ে অন্তরীয় y আমরা পরস্পরে যাকাতে ঠিক বুঝিতে পারি, সে বিষয়ে—” এই বলিয়া বেণ্টউড একটু ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন। অমরেন্দ্ৰনাথ কথাটার শেষ অবধি শুনিবার জন্য ডাক্তার বেণ্টউডের মুখের দিকে ব্যগ্ৰদূষ্টিতে চাহিয়া রছিলেন। এবং সুরেন্দ্ৰনাথ কিছু উষ্ণ হইয়া রোষসংক্ষুব্ধকণ্ঠে বলিলেন, “মিস লীলিনার কথায় আপনার কোন প্ৰয়োজন নাই ।” বেণ্টউড বলিলেন, “খুব প্রয়োজন আছে-আমিও সেলিনাকে उलक्षदांश्र्नि-” “আপনিও সেলিনাকে ৷” বলিয়া, অমরেন্দ্রনাথ চমকিত চিত্তে দাড়াইয়া উঠিবার উপক্ৰম করিলেন। এবং সুরেন্দ্রনাথ, অগ্রাহের হাসি হাসিয়া বলিলেন, “এ কখনই সম্ভব নয়, কারণ-” বেণ্টউড বাধা দিয়া বলিলেন “সুরেন্দ্রনাথ, কারণ দেখাইতে ব্যস্ত হইতে হইবে না-কারণটা আমি নিজে জানি। আমার বয়স হইয়াছেদুই-একগাছি করিয়া চুল্লগুলিও সাদা হইতে আরম্ভ করিয়াছে। সেলিনার ন্যায় নবীন সুন্দরীর যে আমি সম্পূর্ণ অযোগ্য, তাহা আমি জানি । কিন্তু তোমাদের বয়স আছে, রূপ আছে, গুণ আছে, সুখ* সৌভাগ্য তোমাদের অনুকুল ; এ সব বিষয়ে তোমাদের অদৃষ্টই যে সর্বাগ্রে সুপ্ৰসন্ন হইবে, এ কথা কে অস্বীকার করিবে ? তথাপি দেখা যাক, কে জয়ী হয়।” অমরেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “বেশ কথা, আপনি সুরেন্দ্রনাথের ভবিষ্যৎ গণনা করিয়াছেন। ভবিষ্যতে আমার কি হইবে, বলুন দেখি ; আপনাদের রহস্যপূর্ণ নাটকের আমিও একজন অভিনেতা।” বেণ্টউড বলিলেন, “এখন থাক, আজ এ বিষয় লইয়া যথেষ্ট আলোচনা করা হইয়াছে। সেলিন যেরূপ রূপবতী, তাতে সে আমাদের