পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS 8 জীবন্মত-রহস্য লাগিলাম, বাগান অতিক্ৰম করিয়া মা একটা ঘরের ভিতরে যাইলেন ; সেই ঘরে তখন একটা আলো জলিতেছিল। তখনই তিনি বাহির হইয়া আসিলেন ; যে পথে গিয়াছিলেন, সেই পথে ফিরিতে লাগিলেন। তখন দেখিলাম, তখন তঁাতার হাতে একটা কি রহিয়াছে। উজ্জ্বল চন্দ্ৰলোকে তাহা এক-একবার ঝকমক করিয়া জ্বলিয়া উঠিতেছে। তাহার পর তিনি কিছু নিকটস্থ হইলে দেখিলাম, সেটা আপনাদের সেই বিষ-গুপ্তি। তখন আমার মনের অবস্থা যে কিরূপ হইল, কেমন করিয়া বলিব ? তেমন দিবসের ন্যায় পরিস্ফুট জ্যোৎস্নালোকেও আমি চারিদিকে অন্ধকার দেখিলাম। আমি দাড়াইতে পারিলাম না-প্ৰাণপণে ছুটিয়া বাড়ীতে ফিরিয়া আসিলাম। আবার বারান্দার সেইখানে গিয়া রুদ্ধশ্বাসে বসিলাম । নীচের দিকে চাহিয়া রহিলাম। দেখিলাম, তখনই মা সেই বিষ-গুপ্তি হাতে লইয়া উপস্থিত। জুলেখা আবার বাহির হইয়া আসিল, মার কাছে গিয়া তাহার হাত হইতে সেই বিষ-গুপ্তিটা তুলিয়া লইল । তাহার পর হাত ধরিয়া তাঁহাকে বাড়ীর ভিতরে লইয়া গেল। আমার সকলই যেন স্বপ্ন বলিয়া মনে হইতে লাগিল।”