পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্দেহ-বৈষম্য R RvD দত্ত সাহেবের কথা শুনিতে শুনিতে অমরেন্দ্রনাথের মুখ উদ্বেগ বিবর্ণীকৃত এবং চক্ষের দৃষ্টি অত্যন্ত নিম্প্রভ হইয়া গেল। অমরেন্দ্র জড়িতকণ্ঠে কহিলেন, “আপনি কাহার কাছে শুনিলেন ? কে আপনাকে-কে আপনাকে বলিল ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “সেলিনা ।” “কি ভয়ানক ! সেলিনা বলিয়াছে !” বলিতে বলিতে অমরেন্দ্ৰনাথ দূরে সরিয়া দাড়াইলেন। সহসা তঁহার মুখমণ্ডল প্রবল রক্তোচ্ছাসে আরক্ত হইয়া উঠিল—পরীক্ষণে অন্ধকার বিবৰ্ণ মলিন হইয়া গেল। ষোড়শ পরিচ্ছেদ সন্দেহ বৈষম্য অমরেন্দ্রনাথ আর তথায় দাড়াইলেন না ; দত্ত সাহেবের মুখের দিকে চাহিতে আর র্তাহার সাহস হইল না ; তিমি নতমুখে দ্রুতপদে বাটীমধ্যে ঢুকলেন। দত্ত সাহেব অমরেন্দ্রনাথের এই আকস্মিক অভূতপূর্ব অধীরতার কোন কারণ নির্দেশ করিতে না পারিয়া বড় বিস্মিত হইলুেন ; এবং তাহার মন কিছু সন্দেহযুক্ত হইল। তিনি অমরকে সহসা তথা হইতে চলিয়া যাইতে দেখিয়া দুই-একবার প্রভৃত্বের দৃঢ়স্বরে দাড়াইতে কহিলেন। অমরেন্দ্ৰ তাহাতে কৰ্ণপাত না করিয়া অধিকতর দ্রুতবেগে বাটীমধ্যে চলিয়া গেলেন । দত্তসাহেবের বিস্ময়ের সীমা আরও বদ্ধিত হইল । পরীক্ষণে তিনিও বাটীমধ্যে প্ৰবেশ করিলেন । এবং লাইব্রেরী ঘরে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, সেখানে গঙ্গারাম একাকী বসিয়া আছেন।