পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&R6 জীবন্মত-রহস্য দত্ত সাহেব তঁহাকে কহিলেন, “এই যে আপনি আসিয়াছেন, ডাক্তার বেণ্টউড কোথায় ?” গঙ্গারাম কহিলেন, “তিনি রহিমকে দেখিবার জন্য এইমাত্ৰ উঠিয়া গেলেন ।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “একাকী উঠিয়া গেলেন ?” গঙ্গারাম কহিলেন, “না, মিঃ অমরেন্দ্ৰনাথ তাহার সহিত গিয়া CtgaR ʼ শুনিয়া দত্ত সাহেবের মনে ভারি একটা খটকা লাগিল। ভাবিলেন, অমরেন্দ্ৰনাথ কোন গুপ্ত পরামর্শের জন্য বেণ্টউডকে এখান হইতে রহিমের ঘরে লইয়া গিয়াছে। এইজন্যই অমরেন্দ্ৰ বহিদ্বার হইতে আমার আগ্ৰে তাড়াতাড়ি এখানে চলিয়া আসিল। কিন্তু বেণ্টউড শত্ৰু, শত্রুর সহিত অমরেন্দ্রের কি গুপ্ত পরামর্শ ? - এইখানে দত্ত সাহেব বিষম সমস্যায় পড়িলেন। অমরেন্দ্রের উপরে তাহার সন্দেহ আরও প্ৰবল হইয়া উঠিল ; আর তঁহাকে বিশ্বাস করিতে প্ৰবৃত্তি হইল না ; বারংবার র্তাহার মনে হইতে লাগিল, এই সকল পৈশাচিক কাণ্ডে বেণ্টউডের সহিত অমরেন্দ্রও কিছু কিছু লিপ্ত আছে। দত্ত সাহেবের একবার ইচ্ছা হইল, রহিমের ঘরে গিয়া দেখিয়া আসেন, সেখানে বেণ্টউড ও অমরেন্দ্র উভয়ে মিলিয়া কি করিতেছেন। কিন্তু অনাবশ্যক বোধে সে ইচ্ছা তখনই পরিত্যাগ করিলেন । মনে করিলেন, আজ তাহার সহিত সেলিনার যে সকল কথাবাৰ্ত্ত হইয়াছে, অমরেন্দ্ৰ তাহার কিছুই শুনে নাই ; তাহাতে অমরেন্দ্রের নিকটে বেণ্টউড বিশেষ কোন নুতন সংবাদই সংগ্ৰহ করিতে পরিবে না। আপাততঃ ইনস্পেক্টর গঙ্গারামের সহিত এদিককার সমুদয় বন্দোবস্ত ঠিক করিয়া ফেলা যুক্তিযুক্ত ; তাহার পর পুলিসের হাতে পড়িয়া তাহাদিগকে সকল