পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNR bro জীবন্মত-রহস্য গাড়ীর পিছনে সহিসের স্থান দখল করিয়া গাড়ীর সঙ্গে সঙ্গে চলিল । আশানুল্লা মনে ভাবিয়ছিল, শেষ পৰ্য্যন্ত কি ঘটে দেখিয়া পরে কথাটা সকলের কাছে প্ৰকাশ করিবার ভয় দেখাইয়া সেই লোকটার কাছে কিছু আদায় করিবে। সেইজন্য সে গাড়ীর পিছনে চাপিয়া আলিপুরে গিয়াছিল। দত্ত। হা, সে আলিপুরে ডাক্তার বেণ্টউডের বাড়ী পৰ্য্যন্ত গিয়া দেখিয়া আসিয়াছে। সেখানে বেণ্টউড আর কাহাকেও না ডাকিয়া নিজে মৃতদেহ বাটীমধ্যে বহিয়া লইয়া গিয়াছে। নিজেই গাড়ী ঘোড়া আস্তাবল তুলিয়া ফেলিয়াছে। কেমন, আমি যাহা বলিতেছি, সত্য কি না ? গঙ্গারাম আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া দত্ত সাহেবের মুখের দিকে বিস্ময়োৎফুল্লনেত্ৰে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কিরূপে জানিলেন ? নিশ্চয় আশানুল্লার মুখে আপনি এ সব কথা শুনিয়াছেন।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “কিছুমাত্র না। সে আমাকে কোন কথা বলে নাই। গঙ্গারাম বাৰু, এখন অনেক খবরই আমাকে রাখিতে হয়আজকাল চারিদিকের খবর রাখাই আমার কাজ হইয়াছে। আপনি যে স্ত্রীলোকের কথা বলিতেছিলেন, যে লাস-চুরীতে ডাক্তার বেণ্টউডের যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছিল, তাহাকেও যে আমি না জানি, তাহা নহেসে জুলেখা। গঙ্গারাম বাবু, আরও শুনুন, ডাক্তার বেণ্টউড কেবল লাসচোর নয়-সে নিজে সুরেন্দ্ৰনাথের হত্যাকারী।” গঙ্গারাম কহিলেন, “কি সৰ্ব্বনাশ! বলেন কি আপনি! পূর্বে তাহা জানিলে, আমি ওয়ারেন্টখানা বদলাইয়া আনিতাম।”