পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R\Oе জীবন্মত-রহস্য দ্বারে দাড়াইয়া বেণ্টউড স্থির ধীর গভীর; তাহার দৃষ্টি একান্ত চাঞ্চল্যচিহ্ন-বিরহিত, অতি তীক্ষ্ণ ; মুখ গম্ভীর। তাহার পশ্চাতে বাহিরে অমরেন্দ্রনাথ মলিনমুখে দাড়াইয়া। দীর্ঘকাল পরে কোন ব্যক্তি রোগশয্যা ত্যাগ করিয়া আসিলে তাহাকে যেরূপ দেখায়, অমরেন্দ্ৰকে দেখিয়া তাহাঁই বুঝাইতেছে। দত্ত সাহেব বেণ্টউডের কঠোর দৃষ্টিপাতে বুঝিতে পারিলেন, বেণ্টউড বাহিরে থাকিয় তাহদের অনেক কথাই শুনিয়াছেন। বেণ্টউড প্ৰথমে কি বলেন, তাহ শুনিবার জন্য প্ৰথমে নিজে কিছু বলিলেন না ; নীরবে: রছিলেন । বেণ্টউড তখন কহিলেন, “মিঃ দত্ত, আমার উপরে যে আপনি হত্যপরাধ চাপাইতেছেন, তাহা আমি শুনিয়াছি। ভদ্রলোককে নিজের বাড়ীতে ডাকিয়া আনিয়া তাহার সহিত এইরূপ ব্যবহার করা আপনার হ্যায় বিচক্ষণ ব্যক্তির ঠিক কাজ হয় না । অভ্যাগত ভদ্রলোকের প্রতি कि देशई आश्रनांब कर्द्धदा ?” - দত্ত সাহেব কঠোরকণ্ঠে কহিন, “আপনি আর সর্বসমক্ষে নিজেকে অভ্যাগত ভদ্রলোক বলিয়া পরিচিত করিবেন না ।” বেণ্টউড কহিলেন, “হা, আমার ভুল হইয়াছে ; এখন আমি অভ্যাগত কেন ? আপনার শিকার। এতক্ষণে আমি বেশ বুঝিতে পারিলাম, রহিমবক্সকে দেখিবার অজুহাতে আপনি আমাকে এখানে ডাকিয়া আনিয়া ফাঁদে ফেলিতেছেন। আপনি মনে করিয়াছেন, আপনার ফাঁদে পড়িয়া, বিষ-গুপ্তি-চুরী, হত্যা, লাস-চুরী, এই তিনটি অপরাধ নিতান্ত নিৱীহের ন্যায় কি আমি নিজের ঘাড়ে তুলিয়া লইব ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “তাহা কেন ? আপনি দুইটা অপরাধে অপরাধী *