পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჩiფაფf&g − LLeLSLSL LSLSLSLLLLLSLLGLLLLSLLLMLLLLLL LSLSLSLSLSLSLSLSLSLSLSLSLSLSLSLSLSSSLSSSMSSSLSSL “ইহাতে ভয়ানকের ত কিছুই দেখিতেছি না,” বলিয়া বেণ্টউড সেই অস্ত্রটি লাইবার জন্য হাত বাড়াইলেন । মিঃ দত্ত তাড়াতাড়ি সেটি টেবিল হইতে তুলিয়া লইয়া বলিলেন, “হাত দিবেন না, বড় সাংঘাতিক। হাতে একটু বিঁধিলে আর উপায় নাই--সেই মুহূৰ্ত্তে জীবন-লীলার শেষ হইয়া যাইবে। ইহার ভিতরে বিষ আছে ।” “বিষ! বলেন কি ?” বলিয়া বেণ্টউড চকিত হইয়া একটু সরিয়া বসিলেন। বলিলেন, “কই, আমি ত এ রকম অস্ত্ৰ আর কখনও দেখি नांदेरे ।।” O অমরেন্দ্রনাথ সেই সময়ে বেণ্টউডের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখিয়াছিলেন। বেণ্টউডের সেই একান্ত ব্যগ্রতা ও অত্যধিক চকিত ভাব অমরেন্দ্ৰনাথের অকপট বলিয়া বোধ হইল না । সুরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “এইটিই মামা মহাশয়ের অমূল্য সম্পত্তি। মনে করিলে ইনি এই নিরীহ অস্ত্রটার সম্বন্ধে গণিয়া গণিয়া পঞ্চাশটি লোমহর্ষণ গল্প বলিতে পারেন ।” মিঃ দত্ত বলিলেন, “নিরীহ! এমন কথা মুখে আনিয়ে না। দেখুন, মিঃ বেণ্টউড, ইহার ভিতরে এখনও বিষ আছে, গোথুরা সাপের বিষের মত এ বিষ বড় ভয়ানক ! আপনি যদি এই মুখের দিকটা একটু চাপিয়া ধরেন, এই মুহুর্তেই আপনার মৃত্যু হইবে।” অমরেন্দ্ৰনাথ দেখিলেন, মিঃ বেণ্টউডের চক্ষু একবার অত্যন্ত জ্বলিয়া উঠিল। তিনি তঁহার দিকে নজর রাখিলেন। বেণ্টউডের মুখভাবে বোধ হইতে লাগিল, যেন তাহার কিছু চিত্ত-চাঞ্চল্য ঘটিয়াছে। বেণ্টউড অতি সন্তৰ্পণে, ধীর হস্তে সেই বিষাক্ত অস্ত্র উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দেখিতে লাগিলেন।