পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্চৰ্য্য বৈরভাব 8 \9 আমার এইরূপ অবাধ্যতা প্ৰকাশের প্রকৃত কারণ জানিতে পারিয়া, নিশ্চয়ই আপনি আমার উপরে সন্তুষ্ট না হইয়া থাকিতে পরিবেন না।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “বেশ তাহাই হইবে। আপাততঃ আমি তোমার সম্বন্ধে আর কোন কথায় থাকিব না । এদিকে আমি বেণ্টউডকে দোষী সপ্ৰমাণ করিবার জন্য যেমন চেষ্টা করিতেছি, তুমিও তেমনি তাহার মুক্তির জন্য সাধ্যমত চেষ্টা কর। তুমি তোমার সােপক্ষে বা বিপক্ষে কোন কথা আমার মুখে আর শুনিতে পাইবে না। কিন্তু বিচারকালে তোমাকে সকল কথা প্ৰকাশ করিতে হইবে।” অমর। সে বিষয়ে আপনি এখন নিশ্চিন্ত থাকুন। দত্ত। কিন্তু যতক্ষণ না তুমি আমার কাছে সে সকল কথা প্ৰকাশ করিতেছ, ততক্ষণ তোমার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নাই। নাই কেন-শক্রিসম্পর্ক। এরূপ স্থলে আমার এখানে আর তোমার অবস্থিতি করা এখন ঠিক হয় না। তুমি অদ্যই আমার বাড়ী ত্যাগ করিবে। নতমুখে অমরেন্দ্ৰ কহিলেন, “আপনি যে এরূপ একটা বন্দোবস্ত করিবেন, আমি তাহা পুর্বেই অস্ট্রভাবে বুঝিতে পারিয়াছিলাম। যা’ই হোক, আমি এখনই আলিপুরে গিয়া ডাক্তার বেণ্টউডের বাড়ীতে বাসা ঠিক করিয়া লইব । যতদিন মোকদ্দমা শেষ না হয়, ততদিন সেইখানেই থাকিব। ডাক্তার বেণ্টউডকে এই বিপদ হইতে উদ্ধার করিবার জুন্য সেইখান হইতেই আমি প্ৰাণপণে চেষ্টা করিব। মোকদম শেষ হইলে, তখন আপনি যদি আমাকে আপনার পুনরাশ্রয় প্রদানের যোগ্য বিবেচনা করেন, স্থান দিবেন ; আর যদি অযোগ্য বিবেচনা করেন, আমার এই বিদায়ই চিরবিদায় ।” একটা সুদীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া দত্ত সাহেব কহিলেন, “বুঝিয়াছি, অমর, আর বলিতে হইবে না। যখন বিপদ আসে, তখন এমনই চারি