পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 88 জীবন্মত-রহস্য দিক অন্ধকার করিয়া আসে। তুমি আমার সহিত এখন যেরূপ গহিত আচরণ করিতেছ, ইহার মধ্যে যেমনই কোন গুঢ় কারণ থাক না কেন, আমার কিছুমাত্র বিশ্বাস নাই যে, সেই কারণের জন্য ভবিষ্যতে তোমাকে আমি একদিন ক্ষমা করিতে পারিব।” অমরেন্দ্ৰ কহিলেন, “পূৰ্ব্বে একবার আপনি আমার এইরূপ অবাধ্যতার মার্জনা করিয়াছেন ; পরেও আপনাকে তাহাই করিতে হইবে। কিন্তু যতক্ষণ না বিচার শেষ হইতেছে, ততক্ষণ আমাদের মধ্যে যেন কোন সম্পর্ক নাই-পরম্পর অপরিচিত-এইরূপ ভাবে উভয়কেই থাকিতে হইবে।” এই বলিয়া নতমস্তকে অমরেন্দ্ৰ তথা হইতে বাহির হইয়া গেলেন । স্বেদসিক্ত ললাটে হস্তাপণ করিয়া দত্ত সাহেব একাকী বসিয়া রহিলেন। অমরেন্দ্রের সম্বন্ধে অনেক কথা। তাহার মনে উঠিতে লাগিল। আপন মনে তিনি কহিলেন, “বেণ্টউডের বিচারের দিন অমর নিজের এই উন্মত্ততা ছাড়া আর কি প্রকাশ করিবে ? অমরের মস্তিষ্ক একেবারে বিগড়াইয়া গিয়াছে—সে এখন বদ্ধ 'পাগল।”