পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ উদ্যোগ-পৰ্ব্ব সেইদিন অমরেন্দ্ৰনাথ আলিপুরে বেণ্টউডের বাটীতে যাইয়া আশ্রয় লাইলেন। আবশ্যক বুঝিলেই সেইখান হইতেই তিনি বেণ্টউটের সহিত সাক্ষাৎ করিতেন ; এবং নিৰ্ব্বিঘ্নে ইচ্ছামত সময়ে কয়েদখানায় যাতায়াত করিতেন । একদিন অমরেন্দ্রনাথ বৈণ্টউডকে কহিলেন, “শুনিতেছি, জুলেখা আপনার পিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে। ” বেণ্টউড কহিলেন, “সে কথা, আমি বিশ্বাস করি না। যতক্ষণ আমার কাছে এই টম্বরু পাথর আছে, ততক্ষণ সে কিছুতেই আমার বিপক্ষে একটা কথাও প্ৰকাশ করিবে না।” জুলেখার সম্বন্ধে একপ্রকার কৃতনিশ্চয় হইয়া অমরেন্দ্ৰনাথ অনেকটা নিশ্চিন্ত হইতে পারিলেন। কহিলেন, “তাহা হইলে আমি আপনাকে নিশ্চয়ই এ বিপদ হইতে উদ্ধার করিতে পারিব। জুলেখাকেই আমার ठ ।” বেণ্টউড কহিলেন, “হঁ, জুলেখা আমার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিলে ভয়েরই কথা বটে। কিন্তু আমি বেশ বলিতে পারি, আমার কাছে টম্বরু পাথর থাকিতে প্ৰাণান্তেও তাহার মুখ দিয়া আমার বিপক্ষে একটি বৰ্ণও বাহির হইবে না।”