পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 83 yo জীবন্মত-রহস্য গঙ্গারাম কহিলেন, “বেণ্টউড নিজের ঘড়ীর চেনে সেই টম্বরু পাথর ংলগ্ন করিয়া রাখিয়াছেন। আমি হাজতে র্তাহার সহিত দেখা করিতে গিয়া জুলেখার সাক্ষ্যের কথা বলিলাম। তাহাঁতে তিনি সেই পাথরখানা দেখাইয়া আমাকে বলিলেন, যতক্ষণ সেটা তাহার কাছে আছে, ততক্ষণ জুলেখা প্ৰাণান্তেও তাঁহার বিরুদ্ধে কোন কথা প্ৰকাশ করিবে না।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “হঁ, গঙ্গারাম বাবু, আপনি ঠিক বলিয়াছেন, সেই টম্বরুর জন্য জুলেখা বেণ্টউডকে অত্যন্ত ভয় করে। যাহাই হউক, আজ আমি সেলিনার সহিত দেখা করিব ; দেখি, সেলিনার চেষ্টায় যদি জুলেখাকে বেণ্টউডের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিতে সম্মত করাইতে পারি।” সেই চেষ্টায় দত্ত সাহেব তখনই সেলিনাদের বাটীতে যাইয়া উপস্থিত হইলেন ; এবং নিজের অভীষ্টসিদ্ধির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টাও করিয়া দেখিলেন। দেখিলেন, জুলেখা কিছুতেই বশ মানিবার নহে; সে কঁাদিয়া কাটিয়া অস্থির হইয়া, সকলকেই অস্থির করিয়া তুলিল। সেলিনার মাতা ও সেলিনা তাহাকে কত বুঝাইলেন, সে সকলের পদতলে লুষ্ঠিত হইয়া বলিতে লাগিল, সে তুহার পয়গম্বর সাহেবের বিরুদ্ধে কিছুতেই সাক্ষ্য দিবে না । মরিলেও না ।