পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ জুলেখার কাণ্ড দত্ত সাহেব বিফল মনোরথ হইয়া উঠিয়া গেলেন। র্তাহার প্রস্থানের পরেও সেলিনা ও সেলিনার মা উভয়েই জুলেখাকে নানা রকমে বুঝাইতে লাগিলেন । জুলেখা না বুঝিয়া কহিল, “যতক্ষণ পয়গম্বর সাহেবের কাছে টম্বরু আছে, ততক্ষণ আমি তাঁর বিরুদ্ধে একটা কথাও বলিতে পারিব নাতাহা হইলে আমাকে জাহান্নামে যাইতে হইবে।” সেলিনার মাতা কহিলেন, “যদি সে টম্বরুর এত গুণ, তবে সেটা তোর পয়গম্বর সাহেবের কাছে আদায় করিয়া লইতে হয় ।” জুলেখা কহিল, “সহজে কি কেহ কাহাঁকে দেয়। পয়গম্বর সাহেব সেই টম্বরু একবারও কাছ ছাড়া করেন না। টম্বরু। আমার কাছে থাকলে আমিও কঁাউরূপী। সিঙ্গাবোঙ্গাকে মুঠোর ভিতরে রাখতে পারতেম।” সেলিনা কহিল, “এক কাজ করা জুলেখা ; তুই একবার তোর পয়গম্বর সাহেবের “সঙ্গে দেখা করি। টম্বরু পাথর না দিলে সাক্ষ্য দিব বলিয়া, ভয় দেখাইয়া তাহার টম্বরুটা আদায় ক’রে নিয়ে আয় ।” জুলেখা সে কথায় বড়-একটা কাণ দিল না ; সে ধীরে ধীরে গৃহ হইতে বাহির হইয়া গেল ।