পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NR 6 b জীবন্মত-রহস্য kirginagpapamumo অপরাত্নে জুলেখাকে কেহ বাটীমধ্যে দেখিতে পাইল না। ক্ৰমে অপরাকু সায়াহ্নে পরিণত হইল, তথাপি জুলেখার দেখা নাই। তখন সেলিনা ও তাহার মা সভয়ে মনে করিলেন, জুলেখা তাহার পয়গম্বর সাহেবের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবার ভয়েই এখন হইতেই পলাইয়াছে। যতদিন না। এই মোকদ্দমার একটা নিম্পত্তি হইতেছে, ততদিন সে নিশ্চয়ই ফিরিবে না। সহসা জুলেখার অন্তৰ্দ্ধানে উভয়েই অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত এবং আসন্ন বিপদাশঙ্কায় ভীত হইলেন । সেলিনা দেখিল, এখন নিশ্চেষ্টভাবে এক মুহূৰ্ত্ত অতিবাহিত করা উচিত হয় না । মাতাকে কহিল, “এখন এক কাজ করিলে হয় না ? এখনই দত্ত সাহেবকে এই সংবাদ দেওয়া হউক। তিনি চেষ্টা করিলে পুলিসের দ্বারা কোন রকমে জুলেখাকে এখনও গ্রেপ্তার করিতে পরিবেন।” মাতা অমত করিলেন না। তখনই দত্ত সাহেবের বাটীতে লোক প্রেরিত হইল। দত্ত সাহেব তখন বাটীতে ছিলেন না। সন্ধ্যার পরে দত্ত মাহেব পুনরায় সেলিনাদের বাটীতেঁ দেখা দিলেন। জুলেখার পলায়নে তিনিও অনেকটা হতাশ হইয়া পড়িলেন। এ সময়ে জুলেখাকে না। পাইলে বেণ্টউডের বিরুদ্ধে উপস্থিত এত বড় কেন্সটা একেবারে হাল্কা হইয়া যায় দেখিয়া, তিনি হতাশ হইলেও একেবারে হাল ছাড়িতে পারিলেন না। কহিলেন, “এখনও মনে করিলে জুলেখাকে ধরা যাইতে পারে ; আমি আজ অপরাহে আলিপুরের পথে তাহাকে যাইতে দেখিয়াছি।” সেলিনার মাত কহিলেন, “তখনই আপনি তাহাকে ধরিলেন না। কেন ? তাহা হইলে আমাদিগকে আর এত গোলযোগে পড়িতে क्ष्ट्रेख् न् ।।”