পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

წ?ik{-\ფfš -— LL SLLLSSLSLS LSLSLLLLLSLLLSLLLLLLSLLLLLL SLLLSLSLLL SLLLLLLSLLLL GLLLLSSLSSLSLSSLSLSSSSSASASA STSTSLSLLLLL দত্ত সাহেব মাথা নাড়িয়া বলিলেন, “আপনি যাহা মনে করিয়াছেন, তাহা ঠিক নয়। এই গুপ্তির ভিতরে বিষ আছে। যে সুচটা বাহির হইতে দেখিলেন, ওটা ফাঁপা । উপরের এই নীলা পাথরখানা টিপিয়া ধরিলে, বিষ ভিতর হইতে সূচের মুখে নামিয়া আসে। এই বলিয়া বিষ-গুপ্তি পুনরায় যথাস্থানে সংলগ্ন করিয়া রাখিলেন। অমরেন্দ্ৰনাথ কহিলেন, “এখন এ বিষ-গুপ্তি কাজের বাহিরে গিয়া পড়িয়াছে।-সে মারাত্মক গুণটা এখন আর নাই ; তাহা হইলে আপনি আর এমন ভাবে বাহিরে ফেলিয়া রাখিতেন না ।” দত্ত সাহেব বলিলেন, “হা, অনেক দিন হইতে আমার কাছে আছে ; ভিতরের বিষটা একেবারে শুখাইয়া যাওয়াই সম্ভব। যাহাঁই হোক, তা” বলিয়া কিছুতেই বিশ্বাস করা যায় না।” সুরেন্দ্ৰনাথ কহিলেন, “যদি বিশ্বাস করিতে না পারেন, তবে ওটা এমন ভাবে বাহিরে ফেলিয়া রাখা আপনার ঠিক হয় না । এ সব সাংঘাতিক অস্ত্র খুব সাবধানে রাখাই ভাল। আশ্চৰ্য্য কি, ঐ বিষ-গুপ্তি লইয়া হয় ত কোন দিন একটা ভয়ানক বিপদ ঘটিয়া যাইতে পারে।” দত্ত সাহেব কিছু বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “আঃ, কি বিপদ! বিপদ আর হবে কি ? আজি কত বৎসর ধরিয়া এখানেই রহিয়াছে। কে আর উহাতে হাত দিতে যাইবে ?” ডাক্তার বেণ্টউড কিছু বলিলেন না ; অত্যন্ত চিন্তিত ভাবে সেই বিষ-গুপ্তির দিকে বারংবার চাহিয়া দেখিতে লাগিলেন । অমরেন্দ্ৰনাথ, ডাক্তারের মুখের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখিয়াছিলেন। বেণ্টউড আরও দুই একবার বিষ-গুপ্তির দিকে চাহিয়া তাহার পর সুরেন্দ্রনাথের দিকে চাহিলেন । ক্ষণপরে অমরেন্দ্রনাথের মুখের দিকে একদৃষ্টি চাহিয়া রহিলেন ।