পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ छळछ অদ্য বেণ্টউডের বিচারের দিন। বেলা দশটা বাজিবার পূর্বেই বহু লোক সমাগমে বৃহৎ আদালতগৃহ পরিপূর্ণ। এমন জনতা আর কেহ কখনও দেখে নাই। দর্শকের দল মহাকৌতুহলাক্রান্ত হৃদয়ে অপেক্ষা করিতেছে । ইনস্পেক্টর গঙ্গারাম দ্বার্তাহার সপ্তসাক্ষীর সহিত উপস্থিত আছেন। দত্ত সাহেব কোম্পানী-তরফের ব্যারিষ্টারের সহিত গম্ভীরভাবে পরস্পর কি বলাবলি করিতেছেন। তঁহাদিগের কথোপকথনের কোন অংশ শ্রুতিগোচর না হইলেও দর্শকমণ্ডলী আগ্রহপূর্ণদৃষ্টিতে নীরবে তাঁহাদের গম্ভীর মুখের দিকে চাহিয়া আছে। অপরপর্শ্বে মৃত্যুমলিনমুখে অমরেন্দ্ৰনাথ, উপস্থিত মোকদ্দমা সংক্রান্ত কয়েকখানি কাগজপত্ৰ লইয়া উল্টাইয়াপাল্টাইয়া দেখিতেছেন। বেলা এগারটার সময়ে বন্দী বেণ্টউড প্রহরী-পরিবেষ্টিত হইয়া আনীত হইলেন। এরূপ বিপন্নাবস্থায়, আসন্ন বিপদের মুখে পড়িয়াও তঁহার মুখমণ্ডল এখনও হাস্যপ্ৰসন্ন, এবং প্রশস্ত ললাটফলকে অদ্যাপি চিন্তার একটি ও রেখাপাত হয় নাই। ক্ষণপরে বিচারক আসিয়া নিজের আসন গ্ৰহণ করিলে, মোকদমা আরম্ভ হইল ।