পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R জীবন্মত-রহস্য টেবিলের উপরে ঐ বিষ-গুপ্তি রহিয়াছে, জুরী মহােদয়গণ, ইচ্ছা করিলে দেখিতে পারেন ।” একটু ইতস্ততঃ করিয়া আসামীপক্ষীয় ব্যারিষ্টার অমরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “হঁ, আমি স্বীকার করিতেছি, ঐ বিষ-গুপ্তির দ্বারাই সুরেন্দ্ৰনাথকে খুন করা হইয়াছে। বিষ-গুপ্তি সম্বন্ধে আর কিছু বর্ণনা বা পরীক্ষার কোন আবশ্যকতা নাই । আপনার বক্তব্য যাহা শেষ করুন।” কোম্পানী-তরফের ব্যারিষ্টার অমরেন্দ্রনাথকে ধন্যবাদ দিয়া কহিলেন, “বিষ-গুপ্তির দ্বারা যে সুরেন্দ্রনাথের হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন হইয়াছে, ইহা আপনি নিজমুখে স্বীকার করায় বড়ই সুখী হইলাম। তাহার পর বিচারপতি ও জুৱীদিগকে যথারীতি সম্ভাষণ করিয়া বলিতে লাগিলেন, আসামীর উপদেশানুসারে জুলেখা একদিন রাত্রে মিসেস মারুশনকে হিপ'নটাইজ করিয়া মিঃ আর দত্তের বাটী হইতে বিষ-গুপ্তি সংগ্ৰহ করে। জুলেখা বিষগুপ্তির বিষ তৈয়ারি করিবার প্রণালী জানিত, সে নূতন বিষে বিষ-গুপ্তি পূর্ণ করিয়া আসামীকে দেয়, এবং আসামী এই বিষ-গুপ্তির দ্বারা তাহার অভীষ্টসিদ্ধির একমাত্র অন্তরায় সুরেন্দ্রনাথকে হত্যা করিয়াছেন।” আসামী-তরফের ব্যাষ্টির কহিলেন, “আপনি যাহা বলিতেছেন, তাহা সম্পূর্ণ প্ৰমাণ-সাপেক্ষ। নতুবা ইহা আপনার একটা স্বকপোল কল্পিত সুন্দর গল্পমাত্র।” কোম্পানী-তরফের ব্যারিষ্টার কহিলেন, “আমি যতটুকু প্রমাণ করিতে পারিব, তাহার বেশী একটা কথাও বলি নাই-সুতরাং আমি যাহা বলিতেছি, তাহা গল্প নহে জানিবেন। প্ৰমাণ প্রয়োগে সহজেই বুঝিতে পরিবেন, আসামীই সুরেন্দ্রনাথের প্রকৃত হত্যাকারী। তাহার পর আরও তিনি এমন কি সুরেন্দ্রনাথের মৃতদেহ পৰ্যন্ত অপহরণ করিয়াছেন ; সে সম্বন্ধেও আমার কিছু বক্তব্য আছে।”