পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 0 জীবন্মত-রহস্য বেণ্টউডের সেই স্থিরদৃষ্টিতে সহসা অমরেন্দ্রনাথের এক প্রকার অননুভূতপূৰ্ব্ব চিত্ত-চাঞ্চল্য উপস্থিত হইল। বোধ হইল, ডাক্তারের সেই u DBDB DBB BDD DBBBDBD BDBDDD BBD DDD DDDDDDD00 S মেসামরিজুম প্রক্রিয়ায় যে তীক্ষ্মতর স্থিরদৃষ্টির আবশ্যক হয়, ইহাও অনেকটা সেই রকমের। অনতিবিলম্বে অমরেন্দ্ৰনাথ বুঝিতে পারিলেন, নিজের যেন কিছু ভাবান্তরও ঘটিল, বারংবার সেই বিষ, গুপ্তি দেখিবাস জন্য এবং তাহা হস্তগত করিবার জন্য মনের ভিতর একটা ইচ্ছা ক্রমশঃ বলবতী হইয়া উঠিতেছে বুধিয়া বিস্মিত হইলেন। তবে কি কোন দুরভিসন্ধি সিদ্ধির জন্য ডাক্তার তাহাকে হিপ'নটাইজ করিবার চেষ্টা করিতেছেন। চিন্তাকুল অমরেন্দ্রনাথের মনে একবার এইরূপ একটা সন্দেহও হইল। সতর্ক হইলেন, তাড়াতাড়ি সে ঘর হইতে বাহির হইয়া আসিলেন ; এবং উস্তানে পরিক্রমণ করিতে লুগিলেন। সেখান হইতে ঘরের ভিতরকার দৃশ্য কিছু কিছু দেখা যাইতেছিল। এবং গবাক্ষ উন্মুক্ত থাকায় দত্ত সাহেব ও সুরেন্দ্ৰনাথের কথোপকথন বেশ সুস্পষ্ট শ্রুত হইতেছিল। অমরেন্দ্ৰনাথ দেখিলেন, জানালার পার্শ্বেই ডাক্তার বেণ্টউড এখনও ঠিক সেইরূপ ভাবে বসিয়া আছেন, মুখে কথা নাই এবং তাঁহার সেই ভীষণোত্মজ্বল দৃষ্টির একটা প্ৰখৰ্য্য যেন প্রতিক্ষণে বায়ুপ্রবাহে সঞ্চালি ? হইয়া তাঁহাকে অভিভূত করিয়া তুলিতেছে। এবং তঁহার মনের ভিতর বহুবিধা পাপ-কল্পনা আশ্ৰয় করিতেছে। অমরেন্দ্ৰনাথ সেখান হইতে অনেক দূরে সরিয়া গেলেন। প্ৰভাতের স্নিগ্ধ বায়ুপ্রবাহে তঁহার শরীর এবং বিভ্রান্ত মন ক্রমশঃ সুস্থ হইতে লাগিল ।