পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q99 জীবন্মত-রহস্য Ag সন্ধ্যার পর তিনি আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছিলেন। সেই সাক্ষাতেই তাহার সহিত আমার শেষ সাক্ষাৎ। আমি বেশ জানি, আসামীর অধিকারে একখানি টম্বরু নামক প্রস্তরখণ্ড থাকায়, জুলেখা র্তাহাকে খুব ভয় করিয়া চলিত। ছোটনাগপুরের খাড়িয়ার টম্বরু নামক প্রস্তরখণ্ডকে যে যথেষ্ট সম্মান করে, তাহা আমি জুলেখার মুখে শুনিয়াছি। আমি খুব জানি, সুরেন্দ্রনাথের হৃদয়ে কোন ভাবান্তর উপস্থিত হয় নাই। সেদিনও আমি তাহাকে বিশেষ প্ৰফুল্ল দেখিয়াছি ; এমন কোন ভাব দেখি নাই, যাহাতে তিনি আত্মহত্যা করিতে পারেন। আমি আসামীকে তাহার পরম শত্রু বলিয়া নিশ্চিতরূপে জানি।” সেলিনার জোবানবন্দী শেষ হইলে তাহার মাত উঠিলেন। তিনি কহিলেন, “আমি স্নায়বিক দৌৰ্ব্বল্য বশতঃ মধ্যে মধ্যে মস্তিষ্কের পীড়ায় কষ্ট পাইয়া থাকি। জুলেখার হিপ'নটিক চিকিৎসায় আমি ইহাতে অনেকটা উপকার বোধ করি । যেদিন বিষ-গুপ্তি অপহৃত হয়, সেদিন আমার পীড়ার বৃদ্ধিতে জুলেখা আমাকে হিপ'নটাইজ করিয়াছিল। কিন্তু তখনকার হিপ'নটাইজড ত্বাবস্থায় আমি কি করিয়াছি, তাহা কিছুই মনে পড়ে না। জুলেখা অনেক দিন হইতে আমার নিকটে আছে। আমি তাহাকে যথেষ্ট স্নেহ ও বিশ্বাস করি। সে যে আমাকে হিপ'নটজমের অভিভূত অবস্থায় রাখিয়া কোনও প্রকার গৰ্হিত কাৰ্য্য করাইবে, বলিতে কি, এরূপ সন্দেহ আমার মনে এ পৰ্য্যন্ত একবারও উদিত হয় নাই। আমি মিঃ দত্তের বাটীতে কিম্বা আমার নিজের বাটীতে পূর্বে কখনও এই বিষ-গুপ্তি দেখি নাই। জুলেখা সেলিনাকে সুরেন্দ্রনাথের অনুরক্তা বলিয়া জানিত । কিন্তু তাহার ইচ্ছা নহে, সুরেন্দ্ৰনাথের সহিত সেলিনার বিবাহ হয়। আসামীকে বিবাহ করিবার জন্য আমি আমার কন্যাকে