পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচার R9) কখনও কোন অনুজ্ঞা করি নাই । আমি আসামীর নিকটে টম্বরু নামক একখণ্ড প্ৰস্তর দেখিয়াছি ; কোল বা খাড়িয়াজাতির সকলেই টম্বরকে ভয় ও সন্মান করিয়া থাকে। জুলেখাও” এই টম্বরুর জন্য আসামীকে খুব ভয় ও ভক্তি করিত। বন্দী যে সুরেন্দ্ৰনাথের পরম শত্ৰু, তাত তিনি নিজের মূপে স্বীকার করিয়াছেন। আমার কন্যার জন্য তদুভয়ের মধ্যে একটা খুব বিদ্বেষভাব ছিল। উপস্থিত কোন কোন সাক্ষীর ও আমার সমক্ষে আসার্সী সুরেন্দ্রনাথকে সেলিনার সহিত বিবাহসংকল্প ত্যাগ করাইবার জন্য নানারকম ভয় দেখাইয়াছিল। আমি লাসচুনীর সম্বন্ধে কোন কথা জানি না।” মিস আমিনা এজাতার দিলেন, “হত্যাকাণ্ডের পর আশানুল্লা একদিন এই বিষ গুপ্তি আমার নিকটে বিক্রয় করিতে আসিয়াছিল। বিষগুপ্তি দ্বারা যে সুরেন্দ্রনাথ গুন হইয়াছেন, তাহা আমি পূর্বে শুনিয়াছিলাম। সুতরাং আমি তখনই আশানুল্পকে দত্ত সাহেবের নিকটে লইয়া যাই এবং সেই বিষ-গুপ্তি দত্ত সাহেবকে দিয়া আসি। আমি আর কিছু জানি না ।” তাহার পর আশানুল্লা এজাহার দিল, “জুলেখা মধ্যে মধ্যে আমাকেও যাদু করিয়া আসামীর খবরাখবর লইত। আসামী একদিন আমাকে পথে দেখিতে পাইয়া, জুলেখাকে চালেন-দেশমের খবর দিতে বলিলেন। বিষ-গুপ্তির অপর নাম চালেন-দেশম ; তাহা আমি আগে জানিতাম না । একদিন আমি ঐ বিষ-গুপ্তি সেলিনাদের বাড়ীর গেটের কাছে কুড়াইয়া পাইয়া, উহা বিক্রয়ের জন্য মিস আমিনাকে দেখাইতে যাই । আমার কাছে বিষ-গুপ্তি দেখিয়া তিনি আমাকে হুজুর দত্ত সাহেবের