পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভীষণ পক্ষ সমর্থন VC আমার মক্কেলের অপরাধ সংপ্ৰমাণ হইলেও, প্ৰকৃত তিনি অপরাধী নহে ন-আমি নিজেও একজন সাক্ষী । সাক্ষীরা এজেহারে যাহা বলিয়াছেন, তাহার একটি বর্ণও ঠিক নহে। ডাক্তার বেণ্টউড অপরাধী নহে ন-আমি নিজেই অপরাধী-সুরেন্দ্রনাথের হত্যাকারী-” বলিতে বলিতে অমরেন্দ্ৰনাথের স্বর বিকৃত ও ব্যাকুল—জড়িত এবং তৎক্ষণাৎ দৃঢ় ও সুস্পষ্ট হইল। উচ্চকণ্ঠে বলিতে লাগিলেন, “আমি পূৰ্বেই আত্মদোষ স্বীকার করিয়া আমার অপরাধের কাহিনী লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়া আসিয়াছি। আমি এখন ডাক্তার বেণ্টউডের বাড়ীতে থাকি ; সেখানে আমার শয়ন-গৃহে আপনারা সকলেই তাহ দেখিয়া আসিতে পারেন।” দর্শকগণ নিৰ্বাক ও নিঃশব্দ-সকলেই নিম্পলকনেত্ৰে অমরেন্দ্ৰনাথের মুখের দিকে চাহিয়া । অমরেন্দ্রনাথ বলিতে লাগিলেন, “মিস সেলিনাকে আমি সৰ্ব্বাস্তঃকরণে ভালবাসি, তাহাকে পত্নীরূপে লাভ করিবার জন্য আমি হিতাহিত-বিবেচনাশূন্য। পরে যখন দেখিলাম, ‘সুরেন্দ্রনাথ আমার অভীষ্টসিদ্ধির প্রধান অন্তরায়, তখন আমি জুলেখাকে হাতী করিলাম। জুলেখার কাছে এই বিষ-গুপ্তি ছিল। সে কিরূপে ইহা হস্তগর্ত করিয়াছিল, তাহা আমি জানি না-আর সে কথায় এখন বিশেষ কোন প্ৰয়োজন নাই। আমি জুলেখাকে অর্থদ্বারা বশীভূত করিয়া তাহার নিকট হইতে বিষ-গুপ্তিটা আদায় করিয়া লই । যে রাত্রে সুরেন্দ্রনাথ খুন হয়, সেদিন আমি কলিকাতায় যাইবার নাম করিয়া বাট হইতে বাহির হইয়াছিলাম বটে, কিন্তু প্ৰকৃত তাহ ঘটে নাই। আমি তখন সেলিনাদের বাটীতে যাইয়া, জুলেখার সহিত নির্জনে সাক্ষাৎ করিয়া বিষ-গুপ্তি সংগ্ৰহ করিলাম। রাত্রে আমি গোপনে সেইখানে অপেক্ষা করিতে লাগিলাম। তাহার পর দেখিলাম, সেখানে সুরেন্দ্ৰনাথ আসিয়া উপস্থিত হইল ; এবং বাড়ীর