পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুলেখার কথা S ፃ ግ আমার মুখে আদ্যোপান্ত শুনিলে বুঝিতে পরিবেন-এ কি বিস্ময়জনক ব্যাপার!” O দত্ত সাহেব সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি এমন ব্যাপার ?” বেণ্ট। ব্যস্ত হইবেন না—ব্যস্ত হইবেন না। —যথা সময়ে আমি তাহা আপনার নিকটে প্রকাশ করিব। তাড়াতাড়ি করিবেন না।--তাড়াতাড়ির কাজ নয়। ভাল কথা, জুলেখার কি হইল ? लद्ध । (न ?का शाछ । বেণ্ট। পলাইবারই কথা-আমার ভয়েই সে পলাইয়া গিয়াছে। দত্ত। সেটা ঠিক নয়-টম্বর পাথর এখন তাহার নিকটে-সে এখন আর কাভাকে ও ভয় করিবার পাত্রী নিতে । বেণ্ট। হঁ, জুলেখা ভারি চালাক। সে আমার নিকট হইতে টম্বরু পাথরটা বড়ই ফাঁকি দিয়া লইয়াছে। সেদিন আমার খুবই একটা আহাম্মুখী হইয়াছে। আমি যখন হাজতে বন্দী ছিলাম, সেই সময়ে, সে একদিন আমার সঙ্গে দেখা করিতে গিয়াছিল। মোকদ্দমা সংক্রান্ত কোন কথা আছে বলিয়া, সে আমার সহিত নির্জনে দেখা করিবার অনুমতিও পাইয়াছিল। সহসা সেদিন তাহাকেসেখানে উপস্থিত দেখিয়া আমিও অনেকটা সুবিধা বোধ করিলাম। মনে করিলাম, টম্বরুর ভয় দেখাইয়া তাতাকে এমনভাবে সাক্ষ্য দিতে শিখাইয়া দিব, যাহাতে সহজে আমার নির্দোষত সংপ্ৰমাণ হয়। সেই সম্বন্ধেই কথা আরম্ভ করিয়াছি, এমন সময়ে সে নিমেষ মধ্যে বিষ-গুপ্তির বিষের একটা শিশি বাহির করিয়া আমার মুখে সেই বিষ মাখাইয়া দিল, তন্মুক্তর্তেই আমি নিঃসংজ্ঞ হইয়া পড়িলাম। জুলেখা অবসর বুঝিয়া সেই টম্বরু পাথরটা সেই সময়েই আমার ঘড়ীর চেন হইতে খুলিয়া লইয়াছে।