পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচেচ্ছদ ইহা কি সম্ভব ? দত্ত সাহেব কহিলেন, “বিষ-গুপ্তির বিষ কি এমনই ভয়ানক ?” বেণ্টউড কহিলেন, “ভয়ানক বই কি, প্রয়োগমাত্ৰেই মৃত্যু। আদালতে অমরেন্দ্র যখন বিষ-গুপ্তি নিজের করতলে বিদ্ধ করে, তখন আপনি ত নিজেও তাহা প্ৰত্যক্ষ ৰুরিয়াছেন। সেই মুহুর্তেই অমরেন্দ্রনাথের মৃত্যু হইল। ঐ বিষ শরীরস্থ রক্তের সহিত মিশ্রিত श्ड श्रicद्र नाई বলিয়া, আমার মৃত্যু হয় নাই—নিঃশ্বাসের সহিত কেবল গন্ধটা মস্তিষ্কে প্ৰবেশ করায় আমি অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছিলাম মাত্র । পরে পুনরায় उद्घांना श्रेष्ठ्ल ।।” দত্ত। কতক্ষণ পরে জ্ঞান হইল ? বেণ্ট। প্রায় এক ঘণ্টা পরে। জ্ঞান হইলে দেখিলাম, জুলেখা নাই, একজন প্রহরী আমার কাছে বসিয়া রহিয়াছে। তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম, আমি সহসা মূচ্ছিত হইয়া গিয়াছি বলিয়া জুলেখা তাহাকে ডাকিয়া আনিয়াছে। তাহার পর কিছুক্ষণ প্রহরীর সহিত মিলিয়া আমার শুশ্ৰষা করিতে করিতে জুলেখা কখন তাহার অজ্ঞাতে সরিয়া পড়িয়াছে ; কেবল সে নিজে সরিয়া পড়ে নাই-টম্বরুখানাও সরাইয়াছে। তখন আমি বুঝিলাম, আর রক্ষা নাই, এইবারে জুলেখা নিঃসঙ্কোচে আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। নিজের সর্বনাশ সমুপস্থিত দেখিয়া আমি অতিশয় ভীত হইলাম। মনে হইল, এইবার বুঝি—