পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্ষুষী-বিদ্যা ՀԽ՛ձ করিয়া, এক-এক বিন্দু গলিত মোম সেই গ্লাসে ফেলিতে লাগিলেন। p পাঁচিশ-চব্বিশ-তেইশ-বাইশ-, ক্ৰমে দশ-ক্ৰমে গ্লাসে জল বাড়িতে লাগিল। দত্ত সাহেব দেখিলেন, পূৰ্ব্বদ্বৎ বিন্দুগুলি পুষ্পাকারে জমাট বঁধিতে লাগিল। ক্রমে পাচ-গ্লাস প্রায় পরিপূর্ণ হইল। ক্রমে যখন গণনা শেষ হইল, তখন গ্লাস পূৰ্ব্বদ্বৎ পরিপূর্ণ—একটু নাড়া পাইলেই জল । উছলিয়া পড়িয়া যাইবে । জলের উপরে সেই ক্ষুদ্র পুষ্পাকৃতি মোমের বিন্দুগুলি ভাসিতেছে। দত্ত সাহেবের বিস্ময়ের সীমা রহিল না। তখন ডাক্তার বেণ্টউড গ্লাস হইতে জল ফেলিয়া দিলেন ; এবং গ্লাসটা দত্ত সাহেবের তাতে দিয়া বলিলেন, “এখন আপনি গ্লাসটা পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারেন, ইহা আপনারই নিত্যব্যবহাৰ্য্য গ্লাস । মাজিক দেখাইবার গ্লাস নহে, অথবা সেরূপ কোন কৌশল ইহার মধ্যে নাই। গ্লাসটি বেশ করিয়া দেখুন, ওআমার কথা সত্য কি না। তাহার পর আমাকে বুঝাইয়া বলেন, এ রহস্যের কারণ কি ?” গ্লাসটি বিশেষরূপে পর্যবেক্ষণু করিয়া দত্ত সাহেব কঠিলেন, “কই, ইহাতে তেমন কোন কৌশল দেখিতেছি না। বড়ই আশ্চৰ্য্য ব্যাপার, এ রহস্তের মৰ্ম্ম বুঝাইয়া বলিব কি, নিজেই কিছু বুঝিতে পারিতেছি না।” বেণ্টউড কতিলেন, “ইচা যে ম্যাজিক, নচে ; সে সম্বন্ধে আপনি এখনও নিঃসন্দেহ হইতে পারেন নাই, দেখিতেছি। ভাল, আরও আপনাকে দুই-একটা এইরূপ ঘটনা দেখাইব, তখন আপনার মনে আর কোন সন্দেহ থাকিবে না। [ ভিত্তি সংলগ্ন ঘড়ীর দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া ] ঐ দেখুন, আপনার ঘড়ীতে এখন সাতটা আটান্ন মিনিট হইয়াছে; এখনই আটটা বাজিবে, আপনি অনন্তমনা হইয়া এই দুই মিনিট আমার মুখের দিকে চাহিয়া থাকুন।” দত্ত সাহেব তাঁহাই করিলেন। স্থিরদৃষ্টিতে বেণ্টউডের মুখের দিকে