পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ সুন্দরী সমূদেল নীহার বেণ্টউড কহিলেন, “এখন বুঝিলেন কি, কেন এরূপ হইল ? ইহা হিপনেটিজম ছাড়া আর কিছুই নহে। প্রথমতঃ আপনি জলপূৰ্ণ গ্লাস, জলশূন্য হইতে দেখিয়াছিলেন, তাহা ঠিক নহে—গ্লাসের জল পূৰ্ব্ববৎ গ্লাসেই ঠিক ছিল। আমি আপনাকে এরূপভাবে ইচ্ছাশক্তি পরিচালন করিলাম, যাহাতে আপনি মনে করেন, গ্লাসে আর জল নাই, আপনিও ঠিক তাহাই দেখিলেন। তাহার পর আপনি যে নিজের বামকরতলে ক্ষতচিহ্ন, এবং দক্ষিণ করতলে নিজের দস্তখৎ দেখিলেন, তাহাও কিছুই নহে, জানিবেন। ইহা আপনার, মনের একটি খেয়ালমাত্র । বলুন দেখি, কি কারণে এরূপ ঘটনা সম্ভবপর ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “প্রবল ইচ্ছাশক্তির নিকটে দুর্বল ইচ্ছাশক্তি কোন কাজ করে না ।” বেণ্টউড কহিলেন, “স্বীকার করি, কথাটা ঠিক ; কিন্তু ইহাতে আমি বুঝিলাম কি ? ইচ্ছাশক্তি দুৰ্বল বা সবল হউক, একে অপরের স্থান কিরূপে অধিকার করিবে ? আমার ইচ্ছা আপনার মস্তিষ্কে কিরূপে প্ৰবেশ করিয়া আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার ইচ্ছানুযায়ী কাজ করিবে ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “সে সম্বন্ধে আমি ঠিক করিয়া কিছুই বলিতে পারিব না। তবে এমন অনেক দেখা যায়-হিপােনটিজম প্রক্রিয়ার কথা