পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩২৫

RA9 R জীবন্মত-রহস্য বেণ্টউড কহিলেন, “আপনি কি বোধ করেন ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “বোধ আর কি করিব, ইহাও হিপনেটিজম कछेद ।” বেণ্টউড কহিলেন, নিশ্চয়ই। এখন বুঝিতে পারিলেন, হিপনটিজমের দ্বারা কতটা কাজ হয়। আমি যাহা মনে করিব, বা চিন্তা করিব, কেবল তাহাই আপনি দেখিবেন না-কোন একখানি প্ৰতি৷- “ কৃতিকে সজীব করিয়াও দেখান। যাইতে পারে । আমি যে ছবিখানি দেখিতেছিলাম, বলুন দেখি, কিরূপে তাঙ্গার পূর্ণ প্রতিকৃতি আপনার চােখে প্ৰতিফলিত করিলাম ? এমন কি যদি বলেন, আমি এই হিপনটিজম প্রক্রিয়ার দ্বারা আরও শতবিধ অদ্ভুত ব্যাপার আপনাকে দেখাইতে পারি। এমন কি মনে করিলে, আপনি যখন এখানে ঘুমাইবেন, তখন আমি নিজের বাড়ীতে বসিয়া আপনাকে গভীর রাত্রে জাগাইতে পারি, জাগিয়া আপনি কোন বহুদিনমৃত বন্ধুকে শয্যাপাশ্বে দাড়াইয়া থাকিতে দেখিবেন । মনে করিলে এই হিপ'নেটিজনে আপনাকে আকাশে তুলিতে পারি, স্বৰ্গে লইয়া যাইতে পারি, আবার নরকের মধ্যে ও ফেলিতে পারি।-- এমন কি মনে করিলে, আপনাকে অতল সাগরগর্ভে ও শায়িত করিতে পারি।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “সকলই বুঝিলাম। কিন্তু, সেলিনা কোন কারণে সুরেন্দ্রনাথকে হত্যা করিল-বুঝিলাম না। কিরাপে আমি ইহা বিশ্বাস করিব ?” বেণ্টউড কহিলেন, “কোন বিশ্বাস করিবেন না ? সেলিনার মাতা বিষ-গুপ্তি অপহরণ করিয়াছিলেন, তাহ যখন আপনি বিশ্বাস করিয়াছেন, তখন ইহাও আপনি অবশ্য বিশ্বাস করিবেন। বলুন দেখি, কোন কারণে সেলিনার মাতা আপনার বিষ-গুপ্তি অপহরণ করিয়াছিলেন ?”