পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RN 9 জীবন্মত-রহস্য মধ্যে কি কথাবাৰ্ত্তা স্থির হয়, অন্তরালে থাকিয়া তাহা শুনিবার জন্য অমরেন্দ্রনাথও সন্ধ্যার পর সেলিনাদের বাটীতে যাইতে মনস্থ করে। পাছে সুরেন্দ্ৰনাথের মনে কোন সন্দেহ উপস্থিত হয়, সেইজন্য অমরেন্দ্ৰনাথ কলিকাতায় যাইব বলিয়া, পূৰ্বেই বাট চাইতে বহির্গত হয়। কিন্তু কলিকাতায় না গিয়া, অমরেন্দ্র যথাসময়ে সেলিনাদের বাটীতে গিয়া । গোপনে, সুরেন্দ্রনাথের অপেক্ষা করিতেছিল। ঠিক সেই সময়ে আমিও ঘটনাক্রমে সেখানে উপস্থিত হইয়াছিলাম। অমরেন্দ্ৰ যে অভিপ্ৰায়ে গিয়াছিল, আমিও ঠিক সেই অভিপ্ৰায়ে সেখানে গিয়াছিলাম।” দত্ত সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “সেলিনার সহিত সুরেন্দ্রনাথ দেখা করিতে যাইবে, তাহা তুমি কিরূপে জানিতে পারিলে ?” বেণ্টউড কহিলেন, “জুলেখার মুখে আমি শুনিয়াছিলাম। জুলেখা সকল খবরই রাখিত—সেলিনাদের বাটীতে যখন যাহা কিছু ঘটিত, জুলেখার নিকটে আমি সকল খবরই পাইতাম। আমি সেলিনাদের বহির্বাটীতে অমরেন্দ্রকে লুকাইয়া থাকিতে দেখিয়া তাহার মনের ভাব বেশ বুঝিতে পারিলাম। তাহাকে কোন কথা বলিলাম না-দেখা করিলাম না-গোপনে আমিও অপর স্থানে লুকাইয়া রঙ্গিলাম। পরে যথাসময়ে যথাস্থানে সুরেন্দ্ৰনাথ দেখা দিল। এদিকে সেলিনাও বাড়ীর ভিতর হইতে বাহির হইয়া আসিল-তাহার হাতে বিষ-গুপ্তি-চক্ষু দুটা অৰ্দ্ধমুদিত। চোখ মুখের ভাব ও চলিবার ভঙ্গীতে বুঝিতে পারিলাম, লে৷ালনা তখন সহজ অবস্থায় নাই-তাহাকে কেহ হিপ'নটাইজ করিয়াছে। সেলিনা সুরেন্দ্রনাথের দিকে অগ্রসর হইয়া চলিল। সেলিনাকে সম্মুখযস্ক্রিনী হইতে দেখিয়া সুরেন্দ্ৰনাথ ব্যগ্ৰভাবে উঠিয়া দাড়াইল । সেলিনার হাতে বিষ-গুপ্তি ছিল, হৃদয়ের আবেগে সুরেন্দ্ৰনাথ তাহ দেখিয়াও দেখিল না। প্রণয় মনুষ্যকে বিবেক সম্বন্ধে অন্ধ করে জানিতাম, এখন দেখিলাম,