পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NRNb জীবন্মত-রহস্য মৃতদেহ তখনই সেখান হইতে স্থানান্তরিত করিতে হইবে। তখন দুজনে মিলিয়া ধরাধরি করিয়া, সেই মৃতদেহ বাহির করিয়া বাহিরের পথে আনিয়া ফেলিলাম। এমন সময়ে কিছুদূরে ‘কাতার পদশব্দ শুনিলাম। শুনিয়াই মৃতদেহ ফেলিয়া আমরা পলাইয়া গেলাম। নতুবা খুনের অপরাধে আমরাই তখন ধরা পড়িতাম। ঠিক সেই সময়ে আপনি আসিয়া সেই মৃতদেহ পথের ধারে পড়িয়া থাকিতে দেখিলেন।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “হঁ, আমি সুরেন্দ্ৰনাথের আর্তনাদ শুনিয়াই তখনই ছুটয়া গিয়াছিলাম। কই, তোমাদের কাঙ্কাকেও সেখানে দেখি नां है ।” বেণ্টউড কহিলেন, “আপনার পদশব্দ শুনিয়াই, আমরা যােত শীঘ্র সম্ভব পলাইয়া গিয়াছিলাম। সাধ করিয়া কে ফাঁসীর দড়ীটা টানিয়া নিজের গলায় লাগাইতে চাহে ? এখন আত্মনি বুঝিতে পারিলেন কি, কেন অমরেন্দ্ৰ আপনার সহিত এরূপ ব্যবহার করিতেছিল ? কেন সে আপনার বিপক্ষে-আমার পক্ষ-সমর্থনে সন্মত হইয়াছিল ?” দত্ত সাহেব একটা মৰ্ম্মান্তিক দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “সকলই বুঝিয়াছি। অমর বলিয়াছিল, যখন আমি প্রকৃত ব্যাপার জানিতে পারির, তখন তাহার সকল অপরাধ মাৰ্জন কা৯ব-এখন দেখিতেছি, তাহাই ঠিক। নিরপরাধা সেলিনাকে রক্ষা করিতে সে প্রাণপণ করিয়াছিল। এদিকে আবার তোমারও কোন অপরাধ নাই, অথচ তোমার এই বিপদ-তোমাকেও রক্ষা করিতে হইবে। অমর ঠিক করিয়াছে। এরূপ স্থলে ইহা ভিন্ন আর উপায় কি ? অমর দেবতার কাজ করিয়াছে-আমর মানুষ ছিল না-সে দেবতা-স্বৰ্গে গিয়াছে। হায়, তোমরা যদি পূর্বে আমার কাছে এই সকল বিষয় প্রকাশ করিতে, তাহা হইলে আমি কখনই এতটা ঘটতে দিতাম না।”