পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচেচৰ k অনন্তর দত্ত সাহেব, পরদিন অপরাহে কন্যা সমভিব্যাঙ্গারে মিসেস মারশনকে আসিবার জন্য একখানি পত্ৰ লিখিয়া রহিম বন্মে ৭ মারফৎ পাঠাইয়া দিলেন । বেণ্টউডের সম্বন্ধে কোন কথা পত্ৰে উল্লেখ করিলেন না । তিনি জানিতেন, সেই সময়ে বেণ্টউড উপস্থিত থাকিবে, ইহা মিসেস মারিশন জানিতে পারিলে কখনই আসিবেন না । বেণ্টউডের উপরে র্তাহার ভয়ানক রাগ। অনতিবিলম্বে প্ৰত্যুত্তর লইয়া সেলিনাদের বাটী হইতে রহিমবক্স ফিরিয়া আসিল । সেলিনার মাতা আসিতে সম্মত হইয়াছেন। শুনিয়া দত্ত সাহেব আশ্বস্ত হইলেন। আপন মনে বলিলেন, “বাঁচা গেল, বেণ্টউড-লোকটা বড়ই ভয়ানক-দেখি, পিশাচের মনে আরও কি আছে।” বেণ্টউডের কথাগুলি দত্ত সাহেব বহুক্ষণ মনে মনে আলোচনা করিতে লাগিলেন। ভাবিয়া কিছুই ঠিক করিতে পারিলেন না। বেণ্টউড কল্য অপরাহ্রে এখানে সেলিনার মাতা ও সেলিনাকে কেন উপস্থিত থাকিতে বলিয়া গেল, এবং ইহাতে তাহার কি অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে, কিছুই বুঝিতে পারিগেশন না। নিতান্ত উদ্বেগের সহিত বেণ্টউডের পুনরাগমন প্ৰতীক্ষা করিতে লাগিলেন । বেণ্টউডকে বিশ্বাস নাই—হয় তা আবার অমরেন্দ্রের লাসও অপহৃত হইতে পারে, যে ঘরে অমরেন্দ্রের মৃতদেহ ছিল, সেই ঘরে দত্ত সাহেব সারারাত্ৰি জাগিয়া কাটাইলেন ।