পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ve) প্ৰভাতে রহিমকে অমরেন্দ্রের মৃতদেহের পাহারায় রাখিয়া নিজে নানাদি সমাপন করিলেন। মনে মনে স্থির করিলেন, আজ বেণ্টউড আসিলে, সহজে তাহাকে ছাড়া হইবে না ; কাল বড় ফাকি দিয়া গিয়াছে।” সে নিশ্চয়ই সুরেন্দ্রনাথের মৃতদেহের সকল খবর রাখে, সে নিজেই মৃতদেহ বাহির করিয়া লইয়া গিয়াছে। আজ আসিলে, জোর করিয়া তাহার নিকট হইতে সমুদয় কথা বাষ্টির করিয়া লইতে হইবে। যতক্ষণ না সমুদয় কথা স্বীকার করিবে, কিছুতেই তাঙ্গার নিস্তার নাই । অপরাহে সেলিনার মাত কন্যাসহ দত্ত সাহেবের বাটীতে দেখা দিলেন । সেলিনাকে দেখিয়া আর চিনিতে পারা যায় না। তাতার মুখমণ্ডল বিবর্ণ ও শুষ্ক--দৃষ্টিতে সে ঔজ্জ্বল্য নাই-একান্ত নিম্প্রভ-যেন কতদিন রোগভোগ করিয়া এইমাত্ৰ উঠিয়া আসিতেছে। তাহাকে দেখিয়া দত্ত সাহেবের মনে জড় কষ্ট হইতে লাগিল । মনে ভাবিলেন, হতভাগিনি, তুমি জান না, তুমি নিজের হাতে কি ভয়ানক কাজ করিয়াছ! তোমার দোষ কি, জুলেখা ও প্রবণ্টউড এই সকল দুর্ঘটনার মূল—সেই পিশাচ-পিশাচীর হাতে পড়িয়া তুমি মহাপাপ করিয়াছ। মূৰ্দ্ধিমতী বিষমতা সেলিনার সেই স্নান মুখের দিকে দত্ত সাহেব ভাল করিয়া চািহতে পারিলেন না । সেলিনাকে তিনি যেরূপ কাতর দেখিলেন, তাহাতে বেণ্টউড তাহাকে সেলিনার নিকটে হত্যা-সম্বন্ধে কোন কথা বলিতে মানা না করিলেও তিনি কিছুতেই তাহা সেলিনার নিকটে প্রকাশ করিতে সাহস করিতেন না । সেলিনার মাত কহিলেন, “কাল বেণ্টউড। আপনার এখানে কেন আসিয়াছিল ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “সেদিন সুরেন্দ্রনাথ ঘেরূপে খুন হয়, তাহা বলিতে আসিয়াছিল ।