পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোটনাগপুর প্রিয় সুহৃদ ! প্ৰায় চারিপাচ মাস। গত হইল, আপনাকে একখানি পত্র লিখিয়াছিলাম। সেই সকল দুর্ঘটনা সম্বন্ধে যাহা কিছু বলিবার, বুঝাইবার, আপনাকে সেই পত্রে সমুদয় বুঝাইয়া বলিয়াছি। এখন আমি আপনার নিকটে দুই-একটি বিষয় জানিতে চাই ; সেই উদ্দেশ্যে আমি আপনাকে এই পত্ৰ লিখিলাম। আশা করি, পত্রোত্তরে আমার কৌতুহল নিবৃত্তি করিবেন। জুলেখার সন্ধানে আমি এখানে আসিয়াছি। এখনও তাহার কোন সন্ধান পাই নাই ; বোধ করি, আমাকে আরও কিছুদিন এখানে থাকিতে হইবে। জুলেখার সন্ধান না করিয়া আমি এখান -হইতে এক পা নড়িতেছি না। ইতিমধ্যে অমরেন্দ্রকে আমি একখণ্ড পত্র লিখিয়াছিলাম। . আমার দ্বারা মৃত্যুমুখ হইতে রক্ষা পাইয়াছে, ইত্যাদি লিখিয়া অমরেন্দ্ৰ পত্রোত্তরে আমার নিকট খুব কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ করিয়াছে। হত্যাপরাধ হইতে আমাকে রক্ষা করিবার জন্য অমরেন্দ্ৰও আমার হইয়া অনেক চেষ্টা করিয়াছে-যাহ কেহ করে না, তাহা করিয়াছে। সেজন্য আমার পত্রেও আমি তাহাকে যথেষ্ট ধন্যবাদ করিয়াছি। কিন্তু, অমরেন্দ্ৰ পত্রোত্তরে যে কথা লিখিয়াছে, তাহাতে আমাকে একান্ত বিস্মিত হইতে