পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিপ'নেটিজম কি ? রোগ প্ৰতীকার ভিন্ন বহুবিধ ক্রীড়া-কৌতুকের জন্য হিপূনটিজম ব্যবহৃত হইয়া থাকে। একদিন একজন মেসমেরিষ্ট কৌতুক দেখাইবার জন্য একটি চতুর্দশবর্ষীয় বালককে মুগ্ধ করেন। প্রথমে তিনি একখানি চেয়ারে সেই বালককে হেলানভাবে বসাইয়া দিলেন। এবং সম্মুখে দাড়াইয়া দুই-তিন মিনিট সেই বালকের মুখপ্রতি স্থিরদৃষ্টিতে চাহিয়া রহিলেন। অনন্তর তিনি দুই হস্ত প্রসারিত এবং অঙ্গুলিগুলি বিস্তৃত কয়িয়া, বালকের মস্তক হইতে বক্রগতিতে জানু পৰ্য্যন্ত আনিতে লাগিলেন। কয়েকবার এইরূপ করিবামাত্র বালক অভিভূত হইয়া পড়িল। তখন তিনি একখানি রুমাল লইয়া বালকের উভয় চক্ষু বাধিয়া দিলেন। এবং একজন দর্শকের নিকট হইতে একখানি চশমার খাপ লইয়া সেই বালককে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমার হাতে কি দেখিতেছি ?” বালক সেই নিঃসংজ্ঞ অবস্থায় উত্তর করিল, “হীরা।” মুগ্ধকারীর হাতে হীরার আংটি ছিল ; বালক মিথ্যা বলে নাই। তখন তিনি পুনরায় বালককে প্রশ্ন করিলেন, “হীরা ছাড়া আমার হাতে আর কিছু দেখিতেছি ? বালক উত্তর করিল “চশমার খাপ ।” তাহার পর দর্শকগণের অনেকেই বালককে প্রশ্ন করিাবার জন্য মুগ্ধকারীর নিকটে কেহ ঘড়ী, কেহ এলাইচ, কেহ পান ইত্যাদি যাহার। যাহা ইচ্ছা দিতে লাগিলেন। বালক ঠিক ঠিক উত্তর করিয়া সকলকে চমৎকৃত করিতে লাগিল । এমন কি কাহার পকেটে কি আছে, তাহাও বালক বলিতে লাগিল । কোন দর্শক একখানি কাগজে একটী * অঙ্ক লিখিয়া দিলেন, রুদ্ধদৃষ্টি বালক দূরবত্তী স্থানে বসিয়া সেই অঙ্কের ফল মুখে বলিয়া যাইতে লাগিল। লিখিয়া মিলাইয়া দেখা হইল, বালকের ভুল হয় নাই। ইহা গল্প নহে-প্ৰত্যক্ষীভুত। বঙ্কিম বাবু “যোগবল না Psychic-force” অধ্যায়ে এইরূপ একটা ঘটনার অবতারণা করিয়াছেন। নিম্নে কিয়দংশ উদ্ধৃত করিয়া দিলাম। “চন্দ্ৰশেখর স্থির দৃষ্টিতে তাহার (শৈবলিনী) নয়নের প্রতি নয়ন স্থাপিত করিয়া বসিয়া রহিলেন-ক্রমে, শৈবলিনী ভীত হইয়া উঠিয়া বসিল ।