পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ο ο হিপােনটিজম কি ? আমরা বজাঘাতে মানুষকে মরিতে দেখিয়া বুঝিতে পারি। আমাদিগের স্নায়ুমণ্ডলী যতটা পরিমাণে তড়িৎ বহন করিতে পারে, তদপেক্ষা অধিক পরিমাণে তড়িৎ শরীরে প্রবিষ্ট হইলে আমাদের জ্ঞান রহিত হইবারই কথা। কেহ না মনে করেন, হিপিনেটিজমে মৃত্যু ঘটিতে পারে ; এক জনের শরীরে এত অধিক তড়িৎ নাই, যাহাতে মোহিষ্ণুর মৃত্যু ঘটিতে পারে । যেখানে তড়িতের অভাব, সেখানে অতি শীঘ্ৰ তড়িৎ প্ৰকেশ করে। দুর্বল ব্যক্তি শীঘ্রই মুগ্ধ হয়। এইজন্যই যুবক, বালক ও বৃদ্ধিকে, পুরুষ স্ত্রীকে অতি সহজেই অভিভূত করিতে পারেন। সকল প্রকার জীব-জন্তুকেও এই প্রক্রিয়ায় মুগ্ধ করা যায়। কুকুরকে মুগ্ধ করিয়া বলবীৰ্য্য হরণ করা যায়। প্ৰক্ৰিয়া বিশেষে আমাদিগের দেশের সন্ন্যাসী ফকীরগণকে কুকুরের রব বন্ধ করিতে দেখিয়াছি। কুকুর স্বভাবতই সমধিক তাড়িত শক্তিসম্পন্ন ; সেজন্য কুকুরকে মুগ্ধ করিতে বিশেষ সাবধানতা আবশ্যক করে। কৌতুক প্রদর্শনের জন্য অথবা কৌতুহলের বশবৰ্ত্তী হইয়া কুকুরের দেহস্থ তাড়িত শক্তিতে নিজে আবিষ্ট হওয়া অনুচিত-তাহাতে বিপদের সম্ভাবনা যথেষ্ট। প্ৰকাণ্ড দুষ্ট ঘোড়াকে মুগ্ধ করিয়া শান্তশিষ্ট করা যায়। পক্ষীকে মুগ্ধ করিয়া ছাড়িয়া দিলেও সে উড়িয়া পলাইযে না—সঙ্গে সঙ্গে ফিরিবে। বৃক্ষকেও মুগ্ধ করা যায়। ডাক্তার ডিডার ( Dr. Didier) কোন ফুলের গাছকে মুগ্ধ করিয়া অসময়ে সম্বদ্ধিত করিয়াছিলেন, অসময়ে শীঘ্র শীঘ্ৰ ফুল ফুটাইয়াছিলেন। হিপূনটীজমে বিশেষ শক্তি জন্মিলে ধূলা হিপ'নটাইজ করিয়া সৰ্পের গায়ে দিলে সর্প নড়িবে না। সিংহ ব্যাভ্ৰাদি হিংস্ৰ জন্তুকে মুগ্ধ করিয়া একান্ত নিরীহ করা যায়। ধূলা-পড়া, জল-পড়া, নল-চালা, হাত-চালা, বাটীচালা, সমস্তই তাড়িত শক্তির কাৰ্য্য। ধৈৰ্য্য না থাকিলে কেহ হিপনেটিজম আয়ত্ব করিতে পারে না । অভ্যাস করিতে . করিতে কৃতকাৰ্য্য হওয়া যায়। প্ৰথম প্রথম বিলম্ব হয়-তাহার পর ক্ষমতা এত বৃদ্ধি হয় যে,