পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ সেলিনা ও জুলেখা একদিন অপরাঙ্কে দ্বিতলের বারান্দায় বসিয়া জুলেখা সেলিনার কেশবেশবিন্যাস করিয়া দিতেছিল । সেখানে আর কেহ ছিল না । নববর্ষার শুষ্ঠামশ্ৰীর উপর সায়াহারবির স্বর্ণকর ও ধূসর মেঘাচ্ছায়ার তুলিকাসম্পাতে মুক্তপ্রকৃতি হাস্যময়ী ; ধারাপাতপুষ্ট সুনিবিড় বকুলগাছের পল্লবে এবং অদূরবস্ত্রী সুরেন্দ্রনাথাদিগের অট্টালিকার কাৰ্ণিসে রৌদ্র ঝিকমিক করিতেছিল। বারান্দায় রৌদ্র প্রবেশ করিতে পারে না। সেখানে সুসিক্ত স্থূল খসখসে যবনিকা হইতে একটা মৃদুগন্ধ এবং মৃদুস্নিগ্ধতা নিঃস্থত হইতেছিল। সেলিনা চুপ করিয়া বসিয়াছিল; এবং তাহার একরাশ চুল লইয়া জুলেখা অস্থির হইয়া উঠিয়াছিল। কাহারও মুখে কথা নাই। সেলিনা বারংবার অদূরবর্তী সুরেন্দ্রনাথাদিগের বাটীর ছাদের দিকে সতৃষ্ণনেত্ৰে চাহিয়া দেখিতেছিল। জুলেখার সেদিকে যে লক্ষ্য ছিল না, তাহা নহে। সেলিনাকে সেইদিকে ঘন ঘন চাহিতে দেখিয়া সে মনে মনে নিরতিশয় বিরক্ত হইতেছিল। শেষে আর থাকিতে পারিল না ; কহিল, “সুরেন্দ্রনাথের জন্য তুমি পাগল হবে, দেখছি।” সেলিনা কহিল, “সুরেন্দ্ৰনাথের জন্য আমি পাগল হইয়াছি।” কথাটা শুনিয়া জুলেখার চক্ষু অতি তীব্রভাবে জলিয়া উঠিল। এবং নিজেদের ভাষায় সুরেন্দ্রনাথের উপর দুই-একটা কটু শব্দ বর্ষণ করিল। সেলিনা বোধ হয়, তাহা বুঝিয়া থাকিবে, তাড়াতাড়ি বলিল, “জুলেখা,