পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মত-রহস্য ܦ জুলেখার অন্ধকার মুখ আরও অন্ধকার হইল। বিষন্ন ভাবে সে বলিল, “যে আমার চক্ষুশূল—যাকে আমি একেবারে দেখিতে পারি না, তুমি তাকে কেন বিবাহ করিবে ?” সে। তুই দেখিতে পারিস কি না, সে কথায় আমার কোন প্রয়োজন নাই ; আমার পছন্দে আমি বিবাহ করিব। তুই কি আমায় অমরেন্দ্রনাথকে বিবাহ করিতে বলিস ? সুরেন্দ্রনাথের সঙ্গে তাহার তুলনা করিয়া দেখিলে, তিনি ত কঁাউরূপী সিঙ্গিবোঙ্গাকে আরও বেশী অবিশ্বাস Rs.3 জু। না, অমরেন্দ্রনাথকে কেন বিবাহ করিবে ? সে। তবে কি ডাক্তার বেণ্টউডকে বিবাহ করিতে বল নাকি ? এমন অদ্ভুত লোক আর কখনও দেখি নাই। জু। বড় চমৎকার লোক-বড় ভাল, লোক, লোকটা বড় ধাৰ্ম্মিক । “আমার ত কিছুতেই তা’ মনে হয় না,” বলিয়া সেলিনা ধীরে ধীরে উঠিয়া গেল ; এবং বারান্দার শেষপ্রান্তে গিয়া দাড়াইল। সেখানে দিনশেষের লোহিতকিরণচ্ছটা অদূরবত্তী ঝাউ ও দেবদারুর পত্রান্তরাল মধ্য দিয়া বর্ষিত হইতেছে। হেমকারসম্পাতে সেলিনার সুন্দর আরক্ত মুখখানি তখন সত্যুঃপ্ৰোদ্ভিন্ন রক্তোৎপলের ন্যায় অতি সুন্দর। সেলিনার মনে সুখ ছিল না, তাহার মুখ বিষন্ন, দৃষ্টি বিষন্ন, হৃদয় বিষ8, সেই অপ্ৰসন্ন বিষন্নতার মধ্য দিয়া বর্ষারাত্রির স্বচ্ছ জ্যোৎস্নার মত একটা অপ্ৰসন্ন জ্যোতিঃ তাহার অপরিসীম নবীন সৌন্দৰ্য্যে প্ৰতিক্ষণে উজ্জ্বলতর হইয়া বিচ্ছরিত হইতেছিল। অনেকক্ষণ ধরিয়া সেলিনা বহির্জগতের মনোমিদ দৃশ্য দেখিতে দেখিতে সহসা কি মনে করিয়া আবার জুলেখার কাছে ফিরিয়া আসিল; এবং জুলেখ্য, মুখের