পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

No জীবন্মাত-সহস্য r ത്ത് usuar সে । আমি তোর ওই দুজনের একজনকেও বিশ্বাস করি না । আমি সুরেন্দ্রনাথের মুখে শুনিয়াছি, ও সব মুর্থ লোকের কুসংস্কার। জু। [ ক্ৰোধে ] মুখ সামলিয়া কথা কও, সেলিনা । সে। ডাক্তার সাহেব তোর কাউরূপীকে খুব বিশ্বাস করে, না ? জু।” সে কথা । আমি জানি না। কিন্তু, সেলিনা নিশ্চয় জেন, যদি আমাদের কাউরূপী সত্য হয়, কখনই সুরেন্দ্ৰনাথের সঙ্গে তোমার বিয়ে 20द व् । সে । বেশ, পরে দেখা যাবে। কিন্তু এখনসেলিনার মুখের কথা মুখে রহিয়া গেল। দুই হস্ত প্রসারিত করিয়া জুলেখা উচ্চকণ্ঠে ডাকিল, “আশানুল্লা !” উঠিতে পড়িতে তখনই শীর্ণকায় আশানুল্লা আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহার বয়স ত্ৰিশ বৎসর। কিন্তু তাহাকে দেখিতে পানের বৎসরের বালকের মত। যেমন বেঁটে, তেমনি সূক্ষ্মীবস্ত্রাবৃত নরকঙ্কালের ন্যায়৷ কৃশমুখে দাড়ী-গোপের চিহ্নমাত্ৰও নাই। বর্ণ শুল্স এবং সুকৃষ্ণ । পরিধানে অতিজীৰ্ণ শতগ্ৰন্থিপূর্ণ একখানি মলিন বস্ত্ৰ। সেই মুক্তিমান দারিদ্র্য আশানুল্লাকে সেলিন অনেক সময়ে অনেক অনুগ্ৰহ করিত ; কোন দিন সে খাইতে না পাইলে সেলিনা তাহাকে খাইতে দিত—কখনও বা কিছু পয়সা দিয়া সাহায্য করিত । সেজন্য সে সেলিনার অতিশয় বাধ্য হইয়াছিল ; দিনের মধ্যে একবার-না-একবার সে সেলিনার সহিত দেখা করিবেই; কিন্তু জুলেখাকে সে বাঘের মত দেখিত ; যদিও জুলেখার কাউরূপী প্ৰভৃতির অর্থ ভালরূপে একদিনও আশানুল্লার বোধগম্য হয়। নাই, তথাপি সে তাহাকে অত্যন্ত ভয় করিত। সেলিনা তাহাকে মেহকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, “আজ কেমন আছিস, আশানুল্লা ? কোন অসুখ হয় নাই ত ?”