পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাক্ষাতে 9. সু। হা, আমার নিজের জন্য নয়, আমাদের পরস্পরের মধ্যে যদি এরূপ একটা মনোমালিন্য ঘটে, তাহা হইলে মামা মহাশয় অত্যন্ত মনঃক্ষুন্ন হইবেন ; কিন্তু কাল তোমার কথা লইয়া তাহার সহিত আমার অনেক বাচসা হইয়াছে। বেণ্টউড সেই বাচসার একমাত্র কারণ। সে । [ শিহরিয়া ] বেণ্টউড ! ডাক্তার ? সু। হঁয়, তিনিও তোমার রূপে মুগ্ধ । সে। আমি তা জানি, তাকে ভালবাসা দূরে থাক, সাপের চোখের মত র্তাহার চোখ দুটি কেমন এক রকম ভীষণ, তাকে দেখলেই আমার বড় ভয় করে। জুলেখার বড় ইচ্ছা যে, ডাক্তার বেণ্টউডের সঙ্গে আমার বিবাহ হয় । সু। [ বিরক্ত ভাবে ] মরুক তোমার জুলেখা, এ সকল কথায় তার দরকার কি ? তার নিজের কি আর কোন কাজ নাই ? র্তাহারা উভয়ে যে কক্ষে কথোপকথন করিতেছিলেন, তথা হইতে বাড়ীর সম্মুখের পথ এবং গেট বেশ দেখা যায়। উভয়ে দেখিলেন, দুই হাত উৰ্দ্ধে তুলিয়া জুলেখা রাস্তার দিকে দ্রুতপদে যাইতেছে। তাহার মুখ চোখের ভাব কেমন-এক-রকম-অস্থির। সে ছুটিয়া গিয়া গেটের সম্মুখে দাড়াইল ; এবং দুই হাত প্রসারিত করিয়া উচ্চকণ্ঠে বলিতে লাগিল, “কঁাউরূপী-কাউরুপী ।” সেলিনা শঙ্কিতভাবে কহিল, “নিশ্চয় বেণ্টউড এখনই আসিবেন। যখনই জুলেখা ঐখানে দাড়াইয়া এরূপ ব্যাকুল ভাবে “কঁাউরূপী” “কঁাউরূপী” বলিয়া চীৎকার করে ; দেখিতে না দেখিতে ডাক্তার বেণ্টউড আসিয়া উপস্থিত হন-ইহার অর্থ কি ?” সুরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “তোমার কথাটা আমি ঠিক বুঝিতে পারিলাম না ।”