পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R জীবন্মত-রহস্য কথাটার অর্থ সেলিনা ভাল বুঝিতে পারিল না। সবিস্ময়দৃষ্টিতে সে একবার বেণ্টউড, এবং একবার সুরেন্দ্রনাথের মুখের দিকে ঘন ঘন চাহিতে লাগিল। দেখিল, বেণ্টউড সাহেব বিদ্রুপব্যঞ্জক ভ্ৰভঙ্গী করিয়া সুরেন্দ্রনাথের দিকে চাহিয়া আছেন। ক্রোধাবেগে সুরেন্দ্রনাথের চক্ষুঃ জলিতেছে-সুরেন্দ্ৰনাথ অতিকষ্টে ক্ৰোধ সম্বরণের চেষ্টা করিতেছেন। পাছে একটা দুর্ঘটনার সুত্রপাত হয়-এই ভয়ে সেলিনার হৃদয় উদ্বেলিত হইয়া উঠিল। সেলিনা বলিল, “আপনার বসুন, আমি মাকে ডাকিয়া আনিতেছি।” এই বলিয়া সেলিনা দ্রুতপদে তথা হইতে চলিয়া গেল। অনতিবিলম্বে মাতাকে সঙ্গে করিয়া ফিরিয়া আসিল । এবং নিজে তথা হইতে চলিয়া যাইবার উপক্ৰম করিল। বেণ্টউড বাধা দিয়া কহিলেন, “মিস সেলিনা, একটু অপেক্ষা কর। তোমার মার নিকটে তোমার সম্বন্ধেই আমার একটা কথা আছে। কথাটা কি, সেলিনা অনুভবে বুঝিতে পারিল । তাহার মুখ মলিন হইয়া গেল। সে নীরবে একপাশ্বে দাড়াইয়া রহিল। সেলিনার মাতাকে সম্বোধন করিয়া বেণ্টউড কহিলেন, “দেখুন, এতদিন আপনাদের বাড়ীতে যে আমি যাতায়াত করিতেছি, ইহার ভিতরে অবশ্যই একটা অভিপ্ৰায় থাকা সম্ভব। নিরর্থক কেহ কোন কাজ করে না । আপনাকে আর আপনার কন্যাকে আজ আমি একটা কথা জিজ্ঞাসা করিতে আসিয়াছি। আশা করি, আপনাদের কাছে আমি আমার প্রশ্নের সদুত্তর পাইব ।” বিস্মিত হইয়া সেলিনার মাত কহিলেন, “কথাটা কি ?” বেণ্টউডের কথার ভাবে এবং চোখ দেখিয়াই সেলিনা তাহার মনোভাব বেশ বুঝিতে পারিল। ব্যগ্ৰকণ্ঠে সেলিনা বেণ্টউডকে