পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ-প্ৰস্তাবে কহিল, “আপনি এ কথা তুলিবেন না-উত্তর শুনিয়া আপনার মনে কষ্ট হইতে পারে।” বেণ্টউড বলিলেন, “সেজন্য আমি চিন্তিত নহি ।” পরে সেলিনার মাতার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “আমি আপনার কন্যার রূপে भूक्षं ।। 6ष দিন আমি সেলিনাকে দেখিয়াছি, সেইদিন হইতেই আমি তাহাকে ভালবাসিতে আরম্ভ করিয়াছি ; আমার একান্ত আগ্ৰহ, আমার সহিত সেলিনার বিবাহ হয়। মিস সেলিনা, তোমার মত কি ?” বেণ্টউডের এইরূপ প্ৰস্তাবে সুরেন্দ্রনাথ মনে মনে অত্যন্ত বিরক্ত হইলেন। গর্বিতস্বরে তিনি কহিলেন, “মিঃ বেণ্টউড, আপনি আমার নিকটে আপনার এ প্রশ্নের সদুত্তর পাইবেন। সেলিনার আশা আপনি এখন হইতে ত্যাগ করুন-সেলিনা কখনই আপনার হইবে না ; সে আমাকে বিবাহ করিবার জন্য আমার নিকটে প্ৰতিশ্রুত হইয়াছে।” সেলিনার মাতা রুক্ষস্বরে কহিলেন, “সেলিনা, এ কথা সত্য না কি ?” সেলিনা বলিল, “সত্য, “যদি বিবাহ করিতে হয়, তবে সুরেন্দ্রনাথকেই আমি বিবাহ করিব।” সেলিনার মাতা অতিশয় রুষ্ট হইলেন। কহিলেন, “হতভাগা অবাধ্য মেয়ে! তুমি কিছুতেই আমার আমতে বিবাহ করিতে পরিবে না। আর সুরেন্দ্ৰনাথের এরূপ ব্যবহারে আমি অতিশয় দুঃখিত হইলাম । মাতাপিতার অজ্ঞাতে কোন বালিকার মনকে এরূপে ভিন্ন পথে পরিচালিত করা ভদ্রসন্তানের উচিত কাজ নয়। তুমি বড়ই অন্যায় কাজ করিয়াছ ; এ সম্বন্ধে তুমি এ পৰ্যন্ত কোন কথাই আমাকে বল नाई।" সুরেন্দ্ৰনাথ কহিলেন, “না বলিবার একটা বিশেষ কারণ ছিল। তার পর যখন আজ মিঃ বেণ্টউড নিজের হঠকারিতা দেখাইলেন, তখন কাজেই আমাকে এ কথা প্ৰকাশ করিতে হইল।”