পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 জীবন্মত-রহস্য - - মধ্যে যাওয়া আছে—দূর হৌক, ও সকল আর ভাবিব না।” এই বলিয়া মিণ্টনের “প্যারাডাইস লষ্ট” নামক পুস্তকখানা লইয়া পড়িতে আরম্ভ করিলেন। তঁহার মনের অবস্থা ভাল ছিল না ; সুতরাং পাঠে মনোনিবেশ হইল না । তিনি বইখানা টেবিলের উপরে রাখিয়া ভাবিতে লাগিলেন। পরে কক্ষ-প্রাচীর-লগ্ন বিষগুপ্তি উপরে সহসা তঁহার নজর পড়িল । অতি সন্তৰ্পণে তিনি তথা হইতে সেটা উঠাইয়া লইলেন ; এবং ঘুরাইয়া ফিরাইয়া বেশ করিয়া দেখিতে ढव्न् ि। এমন সময়ে সেখানে দত্ত সাহেব বিষন্নভাবে প্ৰবেশ করিলেন । সুরেন্দ্ৰনাথের হাতে সেই বিষাক্ত অস্ত্রটা দেখিয়া, তিনি বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “একি সুরেন, তুমি এ সাংঘাতিক অস্ত্রটা লইয়া কি করিতেছি ? হঠাৎ একটা সৰ্ব্বনাশ করিয়া বসিব সুরেন্দ্ৰনাথ তাড়াতাড়ি সেই বিষ-গুপ্তিটা যথাস্থানে রাখিয়া দিলেন। বলিলেন, “আপনি কি মিঃ বেণ্টউডের बा$ी श्gड qथन আসিতেছেন ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “হা, তিনি ঐ বিষ-গুপ্তিটা আমার নিকট হইতে কিনিয়া লইতে চাহেন ৷” সু। কেন, তিনি ইহা লইয়া কি করিবেন ? দত্ত। তা” আমি বলিতে পারি না। র্তাহার কথার ভাবে বুঝিতে পারিলাম যে, তিনি অনেক দেশ ভ্ৰমণ করিয়াছেন ; সকল দেশের একটানা-একটা আশ্চৰ্য্যজনক বস্তু তিনি সংগ্ৰহ করিয়াছেন। কিন্তু ছোটনাগপুরের তেমন কোন আশ্চৰ্য্যজনক বস্তু তিনি সংগ্ৰহ করিতে পারেন নাই। এইরূপ একটা বিষ-গুপ্তি সংগ্রহের জন্য তিনি পূর্বে অনেক চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু সে চেষ্টা সফল হয় নাই। আমার কাছে এখন