পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপদের সূচনা ( এই বিষ-গুপ্তি দেখিয়া তিনি এটা কিনিয়া লইতে চাহেন। কিন্তু আমি বিক্রয় করিতে সম্মত হই নাই । সুরেন্দ্ৰ। কেন আপনি সন্মত হইলেন না ? এমন সাংঘাতিক জিনিষ ঘরে রাখিয়া লাভ কি ? দত্ত সাহেব কহিলেন, “সাংঘাতিক জিনিষ বলিয়াই ত আমি ইহা হস্তান্তর করিতে পারিতেছি না। যদিও উহার ভিতরের বিষ শুখাইয়া গিয়াছে, তথাপি পাঁচ-সাত জনের জীবনান্ত করিবার ক্ষমতা এখনও উহার বেশ আছে। যদি আমি এই বিষ-গুপ্তিটা কাহাকেও দিই, তাহার পর এই বিষ-গুপ্তি লইয়াই যদি কোথাও কোন বিভ্ৰাট ঘটে-কেহ মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাহা হইলে সে পাপ আমারই হইবে। সেজন্য আমাকেই হয় ত চিরকাল অনুতাপ করিতে হইবে । যা-ই হোক, অমরের কথা মত কাজ করিতে হইবে-আর এটা এমন করিয়া বাহিরে ফেলিয়া রাখা হইবে না। আহারাদির পর আজই আমি এটা নিজের লোহার সিন্দুকে চাবিবন্ধ করিয়া রাখিয়া दि।” সুরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “অমর দাদা মিস আমিনাদের বাড়ীতে গিয়াছেন ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “হয় তা তাহার ফিরিতে রাত হইবে। চল, আমরা দুজনে এখন আহারাদি করি গিয়া । বিশেষতঃ বেড়াইয়া আসিয়া আমার কিছু ক্ষুধার উদ্ৰেক হইয়াছে।” সুরেন্দ্ৰনাথ কহিলেন, “আমি আজ। আপনাকে একটি কথা জিজ্ঞাসা করিব মনে করিয়াছি। আপনি যদি অনুমতি করেন, তাহা হইলে বলিতে পারি।”

  • দত্ত সাহেব কহিলেন, “কি, বল।”