পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপদ-আসন্ন GRA \ আসেন, ততক্ষণ জানালা খুলিয়া রাখিবার জন্য আমার উপরে হুজুরের এমন হুকুম আছে। আমি ইচ্ছা করিয়া খুলি নাই। মিঃ দত্ত সুরেন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সুরেন, তোমার কি অনুমান, কোন বাহিরের লোক কি বিষ-গুপ্তিটা চুরি করিয়াছে ?” সুরেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “আমার তাহাই বোধ হয়। আচ্ছা রহিমবক্স, আজ সন্ধ্যার পর জুলেখাকে এদিকে আসিতে দেখিয়াছ ?” রহিম। ন-দেখি নাই, হুজুর। সুরেন্দ্ৰ ৷ আশানুল্লাকে ? রহিম । তাহাকে আজ সাত-আট দিন দেখি নাই। সুরেন্দ্ৰ। কতক্ষণ তুমি এ ঘরে আলো দিয়া গিয়াছ ? রহিম । আপনাদের ঘরে আসিবার পাঁচ-সাত মিনিট আগে । সুরেন্দ্ৰনাথ কহিলেন, “তাহা হইলে পাঁচ-সাত মিনিট আগে এ ঘর অন্ধকার ছিল। ঘরে আলো না থাকিলে, কেমন করিয়া চোরে সে বিষ-গুপ্তি হস্তগত করিবে। আচ্ছা, তুমি যখন আলো দিয়া যাও, তখন দেয়ালে বিষ-গুপ্তি ছিল কি না, দেখিয়াছিলে ?” রহিম । না, আমি এদিকে তখন লক্ষ্য করি নাই । মিঃ দত্ত বলিলেন, “আচ্ছ রহিমবক্স, তুমি এখন যাও। বাড়ী ছাড়িয়া এখন আর কোথায় যাইয়ো না ।” রহিমবক্স চিন্তিত মনে ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল। দত্ত সাহেব সুরেন্দ্রনাথকে বলিলেন, “তুমি রহিমকে যেরূপ ভাবে প্রশ্ন করিতেছিলে, তাহাতে বোধ হয়, কোন লোকের উপরে তোমার কিছু সন্দেহ হইয়াছে।” সুরেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “আপনার অনুমান মিথ্যা নহে-আমি জুলেখাকে সন্দেহ করিতেছি।”