পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মত-রহস্য “কেন, জুলেখাকে সন্দেহ করিবার কারণ কি ?” “কারণ অনেক আছে-সে। অনেক কথা। রহিমবক্সের মুখে যেরূপ শুনিলাম, আহারাদির শেষে আমাদের এ ঘরে আসিবার পাঁচ মিনিট আগে ঘর অন্ধকার ছিল। বিষ-গুপ্তি কোথায় কি ভাবে আছে, অবশ্যই চোরের তাহ পূৰ্ব্ব হইতে জানা ছিল।” “তোমার কথা যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করি, কিন্তু, জুলেখা কখনও এ ঘরে আসে নাই ।” “জুলেখা আসে নাই, কিন্তু ডাক্তার বেণ্টউড আসিয়াছেন।” “বেণ্টউড। বেণ্টউড কি ইহার ভিতরে আছেন ?” “নিশ্চয়ই-আপনি তঁহাকে বিষ-গুপ্তি বিক্রয় করিতে চাহেন নাই ; কাজেই তিনি এই উপায় অবলম্বন করেছেন। জুলেখা তাহার বড় অনুগত-জুলেখার হাত দিয়াই তিনি বিষ-গুণ্ডি আত্মসাৎ করিয়াছেন। আপনাকে সব কথা প্রকাশ করিয়া না বলিলে আপনি আমার এ দৃঢ় বিশ্বাসের কারণ ভাল বুঝিতে পরিবেন না।” এই বলিয়া সুরেন্দ্রনাথ সেইদিন সন্ধ্যার পূর্বে সেলিনাদের বাটীতে যাহা যাহা ঘটিয়াছিল, তৎসমুদয় বলিতে আরম্ভ করিলেন। বিশেষ মনোনিবেশ সহকারে দত্ত সাহেব, সুরেন্দ্ৰনাথের কথাগুলি শুনিয়া বলিলেন, “সেলিনার মা তোমার সহিত এরূপ ব্যবহার করিয়াছেন শুনিয়া, অতিশয় দুঃখিত হইলাম।” সুরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “সেলিনার সহিত আমার বিবাহ হয়, তাহ { কি আপনার অভিপ্ৰেত নহে ?” দত্ত সাহেব বলিলেন, “ইহাতে আমার অভিপ্ৰায়ের কোন প্রয়োজন হইতেছে না। আমি ত তোমাকে পূর্বেই বলিয়াছি, সেলিনা নিজের অভিপ্ৰায় অনুসারে বিবাহ করিবে।”