পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W Q জীবন্মািন্ত-রহস্য উডের সহিত সেলিনার বিবাহ হয়, তাহাও স্বীকার ; কিছুতেই আমি তোমার এ সঙ্কল্প সিদ্ধ হইতে দিব না ।” সুরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “তোমার ন্যায় তাহারও অদৃষ্ট সুপ্ৰসন্ন। জুলেখা তাহার হইয়া চেষ্টা করিতেছে ; আর সেলিনার মাতা তোমার একান্ত পক্ষপাতী ; তাহা হইলেও আমি কিছুমাত্র চিন্তিত নাহি ।” অমরেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “চিন্তিত নাও ? তুমি কি বেণ্টউডের কথা এত শীঘ্ৰ ভুলিয়া গিয়াছ ? তোমার বিবাহে তোমার জীবন্মত্যু অবশ্যম্ভাবী।” সুরেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “আমি এমন অর্বাচীন নহি যে, বেণ্টউডের একথা আমাকে বিশ্বাস করিতে হইবে । তোমার ন্যায় সুশিক্ষিতের এরূপ ভুল বিশ্বাসের জন্য বরং আমি দুঃখিত।” অমরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “বিশ্বাস অবিশ্বাস লইয়া কোন তর্কের আবশ্যকতা নাই-যাহার যে বিশ্বাস, তাহার সে কারণ জানে। কিন্তু সুরেন্দ্রনাথ ! তোমার যেন বেশ স্মরণ থাকৃে, ডাক্তার বেণ্টউড বড় সহজ লোক নহেন ; শুধু তোমার কথা বলিতেছি না-আমাদের উভয়েরই পক্ষে বেণ্টউড বড় ভয়ানক লোক ৷” সুরেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “তা আমি জানি, বিশেষতঃ আমার বিশ্বাস, বেণ্টউড। আমাদের বিষ-গুপ্তটা চুরি করিয়াছেন।” “বিষ গুপ্তিটা !” চকিতভাবে এই কথা বলিয়া অমরেন্দ্ৰনাথ দেয়ালের যেখানে বিষ-গুপ্তি থাকিত, সেইদিকেই বিশ্বফারিতনেত্ৰে চাহিয়া রহিলেন। তঁহার মুখ বিবৰ্ণ হইল এবং আপাদমস্তক কঁাপিতে লাগিল। ভীতিকম্পিত কণ্ঠে কহিলেন, “বিষ-গুপ্তি নাই—চুরি গিয়াছে— কি সৰ্ব্বনাশ ! সুরেন্দ্রনাথ, এখন হইতে আমাদের দুজনকেই খুব সাবধানে থাকিতে হইবে।”